গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন। তবে দিল্লির সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের পক্ষ থেকে কৃষক নেতৃত্ব জানিয়েছে, আইনগুলি পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ চলবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নতুন আইন (MSP) আনতে হবে এবং গত এক বছরে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
রবিবার সিঙ্ঘু সীমান্তে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কৃষক নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের ২২ তারিখে লখনউতে মহাপঞ্চায়েত বসছে। ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলনের এক বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে সবচেয়ে বড় কর্মসূচি হবে দিল্লি সীমান্তে। যেখানে গত এক বছর ধরে কৃষকরা অবস্থান করছেন। তাই ওইদিন পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির কৃষকদের বেশি সংখ্যায় দিল্লিতে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
২৮ তারিখ মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে হবে মহাপঞ্চায়েত। ২৯ তারিখ সংসদের অধিবেশন বসার দিন ট্রাক্টর মিছিল হবে রাজধানীতে। প্রতিদিন ৫০০ জন প্রতিবাদী অংশ নেবেন এই ট্রাক্টর মিছিলে। কৃষক নেতৃবৃন্দের কথায় –“কৃষকরা বিশ্বাস করে না কেন্দ্রের সরকারকে। অতীতেও এধরনের অনেক প্রতিশ্রুতির কথা শোনা গিয়েছে, পূরণ হয়নি। তাই সংসদে সরকারিভাবে ওই তিন কালা আইন প্রত্যাহার এবং বাকি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনস্থল ছাড়ার প্রশ্নই নেই।”
সংযুক্ত মোর্চার নেতৃবৃন্দের দাবি - তিন কৃষি আইন বাতিল হয়েছে, কিন্তু এখনও অনেক দাবি বকেয়া আছে, সেগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফসলের লাভজনক ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতির দাবিতে বহুদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (এসকেএম) অন্যতম নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, “কৃষকরা তাঁদের অর্ধেক অধিকার অর্জন করেছেন। যতক্ষণ না ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে, এই আন্দোলন চলবে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন