প্রধানমন্ত্রী বিমা যোজনা সম্পর্কে মিথ্যা দাবি করছেন। এমনই অভিযোগ করলেন সংযুক্ত কৃষক মোর্চার কৃষকরা। ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় বেসরকারি বিমা সংস্থাগুলি কৃষক এবং কেন্দ্র রাজ্য সরকার গুলি থেকে ফসল বিমা বাবদ ৩১৯০৫.৫১ কোটি টাকা আদায় করেছিল। কিন্তু ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষকদের দাবি বাবদ পাওয়া অর্থের পরিমাণ ২১৯৭৩.৯৫ কোটি টাকা। এই তত্ত্বে পরিষ্কার বেসরকারি বিমা সংস্থাগুলি মাত্র দু বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে। ক্ষতিপূরণের টাকা বিপুলসংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছয়নি। ফলে ফসল বিমা করানোর ইচ্ছাও কৃষকদের হয়নি।
কৃষকরা ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিয়ে ফসল বিমা করে থাকে। এছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিমার টাকায় ফসলে ভর্তুকি দেয়। অথচ ক্ষতিপূরণ কে পেলেন, তা নজরদারি করার কেউ নেই। বিমার কিস্তির যে অংশের টাকা সরকারের দেওয়ার কথা, তা সময়মতো না দেওয়ায় ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফসলহানির পরিমাপ করার ব্যবস্থা অপ্রতুল, আবহাওয়া দফতর থেকে প্রাকৃতিক রিপোর্ট পাওয়া দুষ্কর। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দুই-তৃতীয়াংশ কৃষক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবহিত নন। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় একইরকম পরিকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে।
এদিকে দেশজুড়ে কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তাঁরা কৃষকদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করছেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবাড় মহিশূরে বেফাঁস মন্তব্য করে কৃষকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ঔশোভা কারান্দলাজে। দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে ওই অশোভন মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন, যাঁরা আন্দোলন করছে, তাঁরা কেউ কৃষক নন। টাকা নিয়ে আন্দোলন করছেন তাঁরা। প্রতিরক্ষা ও পর্যটনমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় ভাটকে ঘিরেও আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন