আরও একবার কৃষকদের ডাকা আন্দোলনের জেরে অস্বস্তিতে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। ইতিমধ্যেই মনোহরলাল খট্টর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার হরিয়ানার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। একাধিক কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে কৃষকদের দিল্লি পৌঁছানো আটকাতে হরিয়ানা ও দিল্লীর একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সিরসা, কুরুক্ষেত্র, আম্বালা, ঝিন্দ, ফতেহাবাদ, কইথাল প্রভৃতি জেলায়। নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাল্ক এসএমএস পাঠানো। রবিবার সকাল ৬টা থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১.৫৯ পর্যন্ত সমস্ত ধরণের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানা প্রশাসন। আম্বালা, সোনিপথের পর পাঁচকুলাতেও জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
পাঞ্জাব হরিয়ানার শাম্ভু সীমান্ত অঞ্চল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ওই অঞ্চলে বিএসএফ এবং র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও পশ্চিম দিল্লীর টিকরি সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দিল্লি প্রবেশের সমস্ত রাস্তায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে দিল্লি প্রশাসন।
হরিয়ানা এবং দিল্লি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কৃষকরা যদি জোর করে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে ক্রেন এবং বড়ো কন্টেনার দিয়ে সীমান্ত সিল করে দেওয়া হবে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং কিষাণ মজদুর মোর্চা ছাড়াও আরও বহু কৃষক সংগঠন এই অভিযানে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি সহ একাধিক দাবিতে দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন।
কৃষকরা যাতে দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য হরিয়ানা ও দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে বাধার জন্য ব্যারিকেড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সিরসা, কুরুক্ষেত্র, আম্বালা, ঝিন্দ, ফতেহাবাদ, কইথাল প্রভৃতি জেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন