পাঞ্জাব-হরিয়ানার মধ্যে থাকা শম্ভু সীমান্ত থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ল হরিয়ানা পুলিশ। এমনই অভিযোগ করেছেন পাতিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি এইচএস ভুলার। তাঁর অভিযোগ, কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই কৃষকদের উপর ১৪ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছে হরিয়ানা পুলিশ।
পুরোনো এমএসপিতে তিন ধরনের ডাল, ভুট্টা এবং তুলা কেনার কেন্দ্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। আজ থেকে ফের দিল্লি অভিমুখে রওনা দিয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার কৃষক। শম্ভু সীমান্ত অতিক্রম করার সময় হরিয়ানা পুলিশ বাধা দেয় তাঁদের। কৃষকদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয় পুলিশের। সেই সময় কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়া কৃষকদের উপর ১৪ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ।
যদিও এতে দমে যাননি কৃষকরা। ট্র্যাক্টরগুলিকে ‘অস্থায়ী ট্যাঙ্ক’-এ পরিণত করে দিল্লির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছেন তাঁরা। ট্র্যাক্টরে লোহার শিট বসানো হয়েছে। পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল থেকে রক্ষা পেতে তার আড়ালেই আশ্রয় নিচ্ছেন কৃষকেরা। জেসিবি মেশিনও এনেছেন কৃষকরা। মানববন্ধন করে সীমান্তের একদিকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে বর্ডারের অপরপ্রান্ত ঘিরে রেখেছেন আধা সামরিক বাহিনী। এছাড়াও কৃষকদের বাধা দিতে সীমান্ত থেকে ২০০ মিটার দূরে কয়েকস্তরীয় সিমেন্টের ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় পেরেক পুঁতে রাখা হয়েছে।
এরই মাঝে বুধবার এমএসপি ইস্যুতে আলোচনার জন্য আবারও কৃষক নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। তিনি বলেছেন, "এমএসপি চাহিদা, শস্য বৈচিত্র্য, খড়ের সমস্যা, কৃষকদের বিরুদ্ধে থাকা এফআইআর সহ একাধিক ইস্যুতে সরকার পঞ্চম রাউন্ডে কৃষকদের সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত।“
কিন্তু কেন্দ্রের এই প্রস্তাব নজর ঘোরানোর কৌশল বলে মনে করছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। BKU (ক্রান্তিকারি)-এর সুরজিত সিং ফুল বলেন, কেন্দ্র আন্দোলন থেকে আমাদের নজর ঘোরাতে চাইছে। তাই তারা আমাদের আরেক দফা আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অবিলম্বে একটি বিবৃতি জারি করা উচিত যেখানে বলা থাকবে তাঁরা আমাদের সমস্ত দাবি পূরণ করবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন