আগামী ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলনের এক বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে জোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজীপুর সীমান্তে ওই দিনেই সমাবেশ করবেন কৃষকরা। কৃষক নেতৃত্বের কথায়, ২৬ নভেম্বরের সমাবেশ ঐতিহাসিক হতে চলেছে।
কর্মসূচি ঘোষণা হতেই পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের গ্রামে গ্রামে বিপুল উৎসাহ নিয়ে কৃষকরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করতে ওই রাজ্যগুলিতেও ছোট ছোট গ্রামসভা, ট্রাক্টর মিছিল, পদযাত্রার আয়োজন করছেন তাঁরা।
২২ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। মহারাষ্ট্রের মুম্বইতেও আগামী ২৮ নভেম্বর সুবিশাল কিষান মজদুর মহাপঞ্চায়েতের ঘোষণা করা হয়েছে।
কৃষকদের বক্তব্য, আন্দোলন ১২ মাস হতে চলল। অথচ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনও দাবি মানা হয়নি। বারবার আবেদন সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে কেন্দ্র কোনও রকম আলোচনার পথে যাচ্ছে না। কৃষক নেতারা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আবেদন রাখতে চান।
তাঁদের কথায়, এক বছরের ৬৫০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ২৬ নভেম্বর গণজমায়েতে শহিদদের প্রতি সম্মান জানানো হবে। ২৬ নভেম্বর দিনটি আমাদের সংবিধান দিবস। ১৯৪৯ সালে এই দিনটিতেই গণপরিষদে ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়।
সংসদ অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করে মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৯ নভেম্বর দিল্লিতে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। ওই দিন থেকে অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ৫০০ জন কৃষক স্বেচ্ছাসেবক ট্রাক্টর ও ট্রলিতে সংসদে যাবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন