শনিবার কৃষকরা তাঁদের 'সংসদ চলো', পিছিয়ে দিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন কৃষক নেতা দর্শন পাল। সংযুক্ত কৃষক মোর্চার বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন- “আমরা ২৯ নভেম্বরের ‘সংসদ চলো’ কর্মসূচি স্থগিত করছি। সরকার আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে ২৯ তারিখে সংসদে আইনগুলি বাতিল করা হবে।”
তিনি বলেন – “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছিলাম, যাতে আমরা অনেক দাবি জানিয়েছিলাম। আমরা দাবি করেছিলাম যে, কৃষকদের বিরুদ্ধে পুলিশ যে মামলাগুলি করেছে, সেগুলি বাতিল করা হোক, এমএসপি (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য) নিশ্চিত করা হোক, এই আন্দোলনে শহীদ কৃষক পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, খড় পোড়ানো এবং বিদ্যুৎ বিলও বাতিল করার দাবি করা হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি জানান – “আমরা ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর চিঠির জন্য অপেক্ষা করব। তারপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করব।”
আজ কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও কৃষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন- যেহেতু সরকার ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছেন, এখন আর আন্দোলন করার কোনো অর্থ নেই। তিনি আরও বলেন – “কৃষকদের দ্বারা উত্থাপিত সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং সরকার খড় পোড়ানোর মামলাগুলি বাদ দেওয়ার দাবি মেনে নিয়েছে।” তবে কৃষিমন্ত্রী এমএসপির প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করেননি, যা কৃষকদের মূল দাবি।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে কৃষকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। কৃষক ইউনিয়নগুলি অবশ্য জানিয়েছে, আইনগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নতুন (MSP) আইন সহ ৬ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন