দিল্লির বাওয়ানা স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী কারাগারে রূপান্তর করার জন্য কেন্দ্রের অনুরোধ ফিরিয়ে দিল দিল্লির আপ সরকার। আপ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কৃষকদের দাবি সঙ্গত।
কেন্দ্রের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে, দিল্লির মন্ত্রী কৈলাশ গেহলট বলেছেন: "কৃষকদের দাবি যুক্তিপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। তাই কৃষকদের গ্রেপ্তার করা ভুল।"
তিনি আরও বলেন, "প্রকৃতপক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত আলোচনার জন্য কৃষকদের আমন্ত্রণ জানানো। তাদের মূল সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত কেন্দ্রের। দেশের কৃষকরা আমাদের 'অন্নদাতা' এবং তাদের গ্রেপ্তার করে এইভাবে আচরণ করা তাদের ক্ষতচিহ্নে নুন মাখানোর মতো কাজ হবে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি না।” "অতএব, কোনও স্টেডিয়ামকে জেলে রূপান্তরের জন্য অনুমোদন দেওয়া যাবে না।"
হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের প্রবেশ এবং প্রস্থান পয়েন্টগুলিতে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে। কারণ পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা কৃষকদের আটকাতে দাঙ্গা-বিরোধী পোশাকে সজ্জিত হয়ে একাধিক স্তরে ব্যারিকেড, কংক্রিট ব্লক, লোহার পেরেক এবং কন্টেইনারের দেয়াল স্থাপন করেছে।
কৃষকদের নয়াদিল্লিতে প্রবেশ করা আটকাতে, আধাসামরিক বাহিনী সহ পুলিশ বাহিনিকে টিকরি, সিংহু এবং গাজিপুর সহ দিল্লি সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে মোতায়েন করা হয়েছে। সিমেন্টের ব্লক এবং অ্যাপ্রোচ রোডে পেরেক লাগিয়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ সোমবার শহরব্যাপী ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) এর ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে দিল্লি প্রবেশের সীমান বন্ধ করেছে। দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত কৃষক বিক্ষোভের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আগামী ৩০ দিনের জন্য এই নির্দেশ জারি করেছেন।
আধাসামরিক বাহিনীর ৬৪টি এবং হরিয়ানা পুলিশের ৫০টি সহ মোট ১১৪ কোম্পানি বাহিনী বিভিন্ন জেলা জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে। এই বাহিনী সীমান্ত এলাকা এবং সংবেদনশীল জেলাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে।
বাহিনী মোতায়েন ছাড়াও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ড্রোন এবং সিসিটিভি ক্যামেরার মতো নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন