রাজধানীর সীমানায় প্রতিবাদ আন্দোলনের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় এবার তাঁবুর খুঁটি পুঁততে শুরু করেছেন কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন বিরোধী কৃষকেরা। লক্ষ্য আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের ক্ষোভকে জনতার মধ্যে সঞ্চারিত করা। সেখানেও কৃষকদের নেতৃত্ব দেবেন ভারতীয় কিষাণ মোর্চার প্রধান রাকেশ টিকায়েতই। তাঁর নিজের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ।
টিকায়েতের কথায়, 'আমরা ৫ আগস্ট থেকে মহাপঞ্চায়েত শুরু করব।' আন্দোলনের আর এক নেতা যোগেন্দ্র যাদবের কথায়, 'উত্তরপ্রদেশের সরকার কথা দিয়েছিল, ধান এবং গমের প্রত্যেকটি দানা কিনবে। কিন্তু ষোলই জুলাইয়ের পর থেকে আর হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না! রাজ্যে উৎপন্ন হয় প্রায় তিন কোটি টন গম। কিন্তু মাত্র বাষট্টি লাখ টন গম কিনেছে সরকার, যা মোট উৎপাদনের ১৮ শতাংশ মাত্র।'
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এই কৃষক আন্দোলন উত্তরপ্রদেশের অন্যতম ইস্যু জাতপাতের সমীকরণে কতখানি প্রভাব ফেলতে পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক সরকার এবং বিরোধীরা। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী খাপ বালিয়ানের সদস্য টিকায়েত। ২০১৪ ও ২০১৯-এর লোকসভা ভোট এবং ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভোটব্যাংককে শক্তিশালী করেছিল এরাই। সুতরাং এক্ষেত্রে ভোটব্যাংক নিয়ে বিজেপিকে ভাবতে হতে পারে।
ইতিমধ্যেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করেছে কিষান মোর্চা। আখ-বলয়ে এই মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছেন এসপি এবং আরএলডি-র নেতা ও কর্মীদের। মুজফ্ফরনগর, বিজনৌর, বাগপেট ও মথুরার মহাপঞ্চায়েতে যথেষ্ট ভিড় হয়।
সম্প্রতি বিজেপির উত্তরপ্রদেশ শাখার সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু কার্টুন পোস্ট করা হয়। তাতে কৃষকদের রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গে মোর্চার বক্তব্য, এই কার্টুনগুলি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় কৃষক-বিরোধী মনোভাবই ভারতীয় জনতা পার্টির মূল ভিত্তি। তাঁরা বিষয়টিকে অত্যন্ত আপত্তিকর ঘটনা হিসাবেই দেখছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন