কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন বাতিল দাবিতে কৃষক আন্দোলনে জের ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং অন্যান্য রাজ্যে মহাপঞ্চায়েত ডাকা হয়েছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কৃষক আন্দোলনের মাঝেই বিজেপি শাসিত মনোহরলাল খট্টর সরকার হরিয়ানায় একটি 'রায়ট বিল' বা 'প্রোটেস্টার্স পে' বিল আনতে চলেছে। এই বিলের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের দ্বারা কোনও সম্পত্তি নষ্ট হলে তার ক্ষতিপূরণ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চলতি বাজেট অধিবেশনেই এই বিলটি পেশ করা হয়েছিল। বিলটির নাম, হরিয়ানা রিকভারি অফ ড্যামেজেস টু প্রপার্টি ডিউরিং ডিস্টার্বেন্স টু পাবলিক অর্ডার বিল, ২০২১। কৃষকদের মতে, এই বিলটি এনে আন্দোলনকারীদের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, এই বিলটি এনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। আন্দোলনরত এক কৃষক মহেন্দর সিংয়ের দাবি, 'হরিয়ানায় জরুরি অবস্থা জারি করার চেষ্টা চলছে। সরকার এই বিলের নাম যা ইচ্ছা তাই রাখতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে এটি জরুরি অবস্থার সামিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এই বিলটি আনা হয়েছে।'
আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, বিল বা অর্ডিন্যান্স আনাই হয় এইধরনের কোনও আটকানো জন্য। অ্যাডভোকেট আবুবকর সাদ্দাক জানিয়েছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রেদেশ সরকারের এইধরনের অবস্থান খারিজ করে দিয়েছে। রাজ্য এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারে। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হতে পারে।কিন্তু রাজ্য যদি এর বিরোধিতা করে আইন আনতে চায়, তাহলে তা আইন বিরুদ্ধ। এর আগেও একবার আন্দোলনকারীদের দ্বারা হওয়া ক্ষতি, ক্ষতিপূরণ বাবদ আদায় করার বিষয়টি এলাহাবাদ আদালত খারিজ করে দিয়েছিল। এই ধরনের বিল আসলে সংবিধানকে অস্বীকার করে সরকারের ক্ষমতা জাহির।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন