ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (MSP) দাবিতে এবার দিল্লিগামী জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন হরিয়ানার সূর্যমুখী কৃষকরা। সম্প্রতি হরিয়ানার বিজেপি-জেজেপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এম এল খাট্টার কৃষকদের জন্য যে সহায়ক মূল্য ঘোষণা করেছেন তাতে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। তারই প্রতিবাদে এদিন কৃষকরা ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।
এদিনের মহাপঞ্চায়েতে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের সঙ্গে যোগ দেন কুস্তিগীর বজরঙ পুনিয়া। কিছুদিন আগেই কুস্তিগীরদের আন্দোলনে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল কৃষকরা।
সোমবার ‘এমএসপি দিলাও, কিষাণ বাঁচাও’ শ্লোগান তুলে পিপলি সবজি মণ্ডিতে জমায়েত হন কৃষকরা। হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং সংলগ্ন রাজ্যের কৃষকরা এদিন কুরুক্ষেত্র জেলার পিপলিতে এক মহাপঞ্চায়েতে মিলিত হব। সেখান থেকেই কৃষকরা সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবি তোলেন।
শনিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এম এল খাট্টার সূর্যমুখী কৃষকদের জন্য ২৯.১৩ কোটি টাকার অন্তর্বর্তীকালীন সাহায্যর ঘোষণা করেন। রাজ্যের ৮,৫২৮ জন কৃষক ৩৬,৪১৪ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তাঁদের ভবান্তর ভরপাই যোজনায় এই অতিরিক্ত মূল্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
যদিও কৃষকরা সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজী নন। তাঁদের দাবি সরকার ৬,৪০০ টাকা প্রতি কুইন্ট্যাল দরে সূর্যমুখী কিনুক। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি যেসব কৃষক ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নীচে সূর্যমুখী বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁদের কুইন্ট্যাল পিছু ১০০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এর আগে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (চারুনি) প্রধান গুরনাম সিং চারুনি গত ৬ জুন জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন। শাহবাদে ৬ ঘণ্টার বেশি সময়ের সেই অবরোধে স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সেদিনের কৃষক আন্দোলন ভাঙতে সরকারের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ করা হয় এবং জলকামান ব্যবহার করা হয়।
সোমবারের সভায় একাধিক কৃষক নেতা সরকারের সমালোচনা করেন এবং সরকারকে ‘কৃষক বিরোধী’ বলে আখ্যা দেন। এদিনের সভায় সূর্যমুখী কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ছাড়াও গত ৬ জুনের আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া কৃষক নেতৃত্বের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
গত শনিবারই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনকে ‘কৃষকরা রাজনীতি করছে’ বলে দাবি করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এম এল খাট্টার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন