মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, তিন বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বছরব্যাপী আন্দোলনের সময় মৃত কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা বা মৃতের সংখ্যা সম্পর্কিত কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই এবং তাই কোনও ক্ষতিপূরণ বা আর্থিক সহায়তার প্রশ্নই নেই। যদিও আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্ব দাবি করেছে যে গত বছর থেকে প্রায় ৭০০ জন কৃষক আন্দোলনের সময় প্রাণ হারিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর লোকসভায় বিরোধী সাংসদদের করা প্রশ্নের উত্তরে 'কৃষি আইনের আন্দোলন'-এর প্রশ্নের উত্তরে একথা জানিয়েছেন।
অন্যান্য প্রশ্নের মধ্যে, সংসদ সদস্যরা আন্দোলনের সাথে জড়িত কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। এছাড়াও রাজধানী শহর দিল্লি এবং এর আশেপাশের সীমান্ত অঞ্চলে বছরব্যাপী চলা আন্দোলনের সময় নিহত কৃষকদের সংখ্যাও জানতে চাওয়া হয়। সরকার এই আন্দোলনের সময় নিহত কৃষকদের আত্মীয়দের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কিনা তাও জানতে চান সাংসদরা।
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রকের স্পষ্ট উত্তর, এই বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই এবং তাই আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
এই প্রশ্নের আগের অংশের উত্তরে সরকারের পক্ষ থেকে বিশদে জানানো হয়, কীভাবে সরকার পরিস্থিতির মোকাবিলায় কৃষক নেতাদের সাথে ১১ দফা আলোচনা করেছে এবং "সরকার প্রস্তাব করেছে কিনা" এই প্রশ্নের উত্তরে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের তালিকাও দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করা এবং কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাস্তবায়ন করার কথাও বলা হয়েছে।
তিন বিতর্কিত আইন বাতিলের প্রধান দাবি এখন সংসদে বিলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। যদিও এর পাশাপাশি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলনের সময় কৃষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং যে সমস্ত কৃষক আন্দোলনের সময় শহীদ হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পরিবারের পুনর্বাসনের দাবিও করা হয়েছে।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন