কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের এক বছরে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। তার আগে ৫ সেপ্টেম্বর মুজাফফরনগরে হবে সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকে মহাপঞ্চায়েত। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের গ্রামে গ্রামে, তৃণমূল স্তরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যেই মহাপঞ্চায়েত ডাকা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ২৬ ও ২৭ আগস্ট সিঙ্ঘু সীমান্তে সংযুক্ত কিষান মোর্চা কনভেনশন করেছে। সব রাজ্যে, জেলায় জেলায় কিষান মোর্চা গঠনের কথা বলা হয়েছে এই কনভেনশনে। জেলাস্তরেও কনভেনশন করতে হবে। বিজেপি বিরোধী আন্দোলনকে তীব্রতর করাই লক্ষ্য। তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সিংঘু সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা। কনভেনশনে এই আইনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল ২০২১, এনসিআর নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্বামীনাথনের সুপারিশ মেনে কৃষিপণ্যের অন্যতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের সরকারের ব্যর্থতার বিষয়টি উঠে আসে। আরএসএস, বিজেপির বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্টের কৌশল এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টাকে সর্বসম্মতভাবে নিন্দা করা হয়েছে কনভেনশনে।
সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রস্তাব গ্রহণ করে বলা হয়েছে, মোদি সরকার সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। তারা সম্পূর্ণভাবে কর্পোরেট স্বার্থে কাজ করে চলেছে। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, গণতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের এই চেষ্টা সংবিধানের প্রস্তাবনা লংঘন করছে।
পাশাপাশি কেন্দ্রের বেসরকারিকরণের নীতিরও তীব্র সমালোচনা করে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। চুক্তি ভিত্তিক কৃষি আইন, মান্ডি বাইপাস আইন কীভাবে কৃষকদের রোজগারে প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। কর্পোরেটমুখী এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দেশবাসীকে আশা জোগাচ্ছে বলে মনে করছে বিরোধীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন