Farmers Protest: চাক্কা জ্যামের মাধ্যমে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি কৃষকদের, দাবি না মানলে ফের আন্দোলন

কেন্দ্রীয় সরকার যদি প্রতিজ্ঞা পূরণ না করে তাহলে চলতি মাস থেকেই ফের রাস্তায় নামবে কৃষকরা। কৃষকরা জানিয়েছেন, তঁদেরকে C2+50% নিয়মের ওপর ভিত্তি করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার গ্যারেন্টি দিতে হবে সরকারকে।
চাক্কা জ্যাম
চাক্কা জ্যামছবি AIKS ট্যুইটার হ্যান্ডেল
Published on

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে চাক্কা জ্যামের মাধ্যমে আরও একবার হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি আদায় না হলে আগামীদিনে আরও বড় আন্দোলনে নামবেন তারা।

দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনের কথা সকলেরই জানা। তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে পথে নেমেছিলেন তাঁরা। কৃষকদের চাপে পড়ে আইন বাতিল করতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় সরকার। ফের একবার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন এসকেএম সহ একাধিক কৃষক সংগঠন। এসকেএমের পক্ষ থেকে জনানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে তাহলে চলতি মাস থেকেই ফের রাস্তায় নামবে কৃষকরা। কৃষকরা জানিয়েছেন, তঁদেরকে C2+50% নিয়মের ওপর ভিত্তি করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য(MSP) দেওয়ার গ্যারেন্টি দিতে হবে সরকারকে।

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, রবিবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, গুজরাট সহ একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ ও চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতারণার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে হাজার হাজার কৃষক একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানায়। এসকেএমের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার একটাও পূরণ হয়নি।

কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি জানানো হয়েছে। প্রথমত, কেন্দ্রীয় সরকারকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে অবিলম্বে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। দ্বিতীয়ত, সংসদে যে বিদ্যুৎ বিল পেশ করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করতে হবে। তৃতীয়ত, কৃষক আন্দোলনের সময় যেসব কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করতে হবে। চতুর্থত, অজয় মিশ্র টেনিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করতে হবে। পঞ্চমত, কৃষক আন্দোলনের সময় যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করতে হবে। ষষ্ঠত, কৃষকদের বিরুদ্ধে সমস্ত মিথ্যা মামলা তুলে নিতে হবে।

উল্লেখ্য, জুলাই মাসের শুরুতেই এমএসপি বিষয়ে একটি বৈঠক ডাকে কেন্দ্র। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল এমএসপিকে স্বচ্ছ করা। যার জন্য ২৯ সদস্যের প্যানেল গঠনের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। এসকেএম থেকেও ৩ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।

AIKS নেতা হান্নান মোল্লা জানান, ঐ প্যানেলের সদস্য হওয়া উচিত নয়। কারণ ঐ প্যানেলে তিন কৃষি আইনের খসড়া যিনি তৈরি করেছিলেন তাঁকেই চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এছাড়াও প্যানেলে আরও অনেকে আছেন যাঁরা প্রথমে কৃষি আইনের সমর্থন জানিয়েছিলেন। আমাদের মূল দাবিগুলোকে সরকারকে অবিলম্বে পূরণ করতেই হবে। তা যদি না হয় আবার কৃষক আন্দোলনের সাক্ষী থাকবে ভারত।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in