আন্দোলনের ৭ মাস পূর্তি, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সব রাজ্যের রাজ্যপালদের স্মারকলিপি দেবেন কৃষকরা

কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়ে টিকাইত বলেন, গত ৭ মাস ধরে কৃষকদের আন্দোলন চলছে, কিন্তু সরকার অন্ধের মতো আচরণ করে চলেছে। কোনও কিছুই যেন দেখতে পারছে না।
ফাইল ছবি সংগৃহীত
ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন সাত মাসে পড়ল। এখনও কেন্দ্র নিজের অবস্থানে অনড়, এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত কৃষকরাও নিজেদের অবস্থান ছাড়তে রাজি নন। তাই এবার এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রত্যের রাজ্যের রাজ্যপালকে স্মারকলিপি জমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত।

কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়ে টিকাইত বলেন, 'একমাত্র মূক ও বধির সরকারই পারে এরকম অবস্থান নিয়ে চলতে।' দিল্লি সীমান্তের তিনটি প্রধান গেটের মধ্যে অন্যতম ইউপি গেটের বাইরে এক জমায়েতে হাজির হয়ে টিকাইত বলেন, গত ৭ মাস ধরে কৃষকদের আন্দোলন চলছে, কিন্তু সরকার অন্ধের মতো আচরণ করে চলেছে। কোনও কিছুই যেন দেখতে পারছে না।

শুক্রবার রাতে দিল্লি মেট্রোরেল কর্পোরেশন টুইট করে জানায়, নিরাপত্তার কারণে দিল্লি পুলিশের নির্দেশ অনুসারে ইয়েলো লাইনের তিনটি মেট্রো স্টেশন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাব থেকে আসা আন্দোলনরত কৃষকরা সিঙ্ঘু, টিকরি এবং গাজিপুর সীমান্তে জমায়েত হয়ে ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। একাধিক ধাপে কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের কথা হলেও অচলাবস্থা কাটেনি।

গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ শেষবারের মতো কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল সরকার। কিন্তু ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর অভিযান হিংসাত্মক আকার ধারণ করার পর থেকে সবরকমের আলোচনা বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারের তরফে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in