জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র বিরুদ্ধে 'প্রতিরোধের উৎসব' কর্মসূচির নামে বৃহস্পতিবার থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করল এসএফআই। ১১ নভেম্বর মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম দিনটিকে 'জাতীয় শিক্ষা দিবস' হিসেবে পালন করে আন্দোলনের সূচনা করা হয়েছে।
এদিন দেশজুড়ে এসএফআই কেন্দ্রীয় কমিটির সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাকে জেএনইউ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দ্রাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা যোগ দেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের পক্ষ থেকে এই শিক্ষানীতি বাতিলের দাবি জানানো হয়।
জাতীয় শিক্ষা দিবসে যন্তর-মন্তরে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এসএফআই কর্মীরা প্রতিবাদে শামিল হন। বক্তব্য রাখেন এসএফআই নেতা বিনীত। কেরলের কান্নুরের প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি ভিপি শানু।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ নভেম্বর জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে, নিট বাতিলের দাবিতে রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদী পিকেটিং হবে। লিফলেট বিলি হবে।
১৪ নভেম্বর শিশু দিবসকে 'অঙ্গনওয়াড়ি রক্ষা দিবস' হিসেবে পালন করা হবে। ১৫ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের সামনে এসএফআই জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে জোরালো প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে।
১৯ থেকে ২৬ নভেম্বর জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করার পাশাপাশি গত এক বছর ধরে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আন্দোলন করা হবে।
এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস জানান, এই শিক্ষানীতির জন্য মোদি সরকার আরএসএস ও কয়েকটি কর্পোরেট গোষ্ঠী ছাড়া কারুর কাছে পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন মনে করেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন