ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের 'বিদ্বেষসূচক' (Hate Speech) মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়েছে বিশ্ব। বর্হিবিশ্বে প্রশ্নের মুখে ভারতের ধর্মনিরপপেক্ষ অবস্থান। এই পরিস্থিতিতে 'বিদ্বেষসূচক' কথা বলার দায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নামে দুটি আলাদা এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা।
জানা যাচ্ছে, দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা - ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনস (IFSO) ইউনিট বর্তমানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। উত্তেজনা থামাতে বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতা, সাংবাদিক, ধর্মগুরুদের নামেও এফআইআর দায়ের করেছে তারা।
দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন,' FIR-এ তালিকায় আছেন বিজেপি মিডিয়া ইউনিটের সাসপেন্ডেড নেতা নবীন জিন্দাল এবং নূপুর শর্মা, মিম পার্টির (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, পিস পার্টির প্রধান মুখপাত্র শাদাব চৌহান, সাংবাদিক সাবা নকভি, রাজস্থানের মাওলানা মুফতি নাদিম, আবদুর রহমান, গুলজার আনসারি এবং হিন্দুত্ববাদী নেতা স্বামী ইয়াতি নরসিংহানন্দ।'
একইসঙ্গে জানা গেছে, IFSO-র করা এফআইআর-এ নাম রয়েছে হিন্দু মহাসভার পূজা শাকুন পাণ্ডেরও।
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (IFSO) কে পি এস মালহোত্রা জানান, 'যাঁরা ঘৃণার বার্তা ছড়াচ্ছিলেন, বিভিন্ন গোষ্ঠীকে উসকানি দিয়েছিলেন এবং শান্তি বিরোধী ক্ষতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছিলেন, আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারার অধীনে এফআইআর দায়ের করেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'সাইবার জগতে অশান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মিথ্যা এবং ভুল তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করব আমরা। তারা দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে আপস করছে।'
দিল্লি পুলিশের আধিকারিক জানান, উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ২৯৫ এবং ৫০৫ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
একইসঙ্গে তিনি জানান, 'বিশদ তথ্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারীদের কাছে নোটিশ পাঠানো হবে। সকল অভিযুক্তদের তদন্তে যোগ দিতে বলা হবে। আমরা তাঁদের বিবৃতি রেকর্ড করব, এরপরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন