বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙা বেআইনি, মন্তব্য করলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর। যোগী রাজ্যে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙা প্রসঙ্গেই তিনি এই কথা বলেন।
উত্তরপ্রদেশে যোগী প্রশাসন রবিবার একটা বাড়ি বুলডোজার দিয়ে কার্যত গুঁড়িয়ে দেয়। বাড়িটির মালিক মহম্মদ জাভেদ আহমেদকে কানপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটির তরফ থেকে নোটিশও দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, নোটিশে ঐ ব্যক্তিকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
সম্প্রতি বিজেপি নেত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে আগুন জ্বলছে চারিদিকে। উত্তরপ্রদেশেও বিক্ষোভ আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। ইউপির প্রয়াগরাজে আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন মহম্মদ জাভেদ আহমেদ। অনেকে মনে করছেন, ঐ বিক্ষোভ আন্দোলনে যোগদানের কারণেই তাঁর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হল।
বুলডোজার চালিয়ে বাড়ি ভাঙাকে তীব্র নিন্দা করলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। গোবিন্দ মাথুর বলেন, উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন ঠিক মতো পালন করা হচ্ছে না। এইভাবে একজনের বাড়ি কখোনই ভেঙে ফেলা উচিৎ নয়।
এর আগেও তিনি যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। ২০২০ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে (CAA) বিরোধিতা করে যারা অভিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের বাড়ি বাড়ি উত্তরপ্রদেশ সরকার ‘নেম অ্যান্ড শেম’ লিখে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রতিবাদে গোবিন্দ মাথুর, ইউপি সরকারের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর সমর্থনে আদালত এই ঘটনা অমানবিক এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছিল।
বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভেঙে দেওয়ার প্রসঙ্গেও তাঁর মন্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। প্রসঙ্গত, এই বুলডোজার বিতর্ক নতুন নয়। এর আগেও দিল্লীতে বুলডোজার চালিয়ে বহু গরিব মানুষের দোকান, বাড়ি ভাঙা হয়েছে। উত্তর দিল্লীর বিজেপি শাসিত পুরনিগমের তরফ থেকে এমন ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে একাদিক জায়গায়। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাহাঙ্গীরপুরিতে আপাতত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন