রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিংয়ের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করল সিবিআই। উত্তরপ্রদেশের ভাদোহিতে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেডি সিংয়ের পাশাপাশি আরও সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, কেডি সিংয়ের দুটি সংস্থা অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়েলিটি লিমিটেড এবং অ্যালকেমিস্ট টাউনশিপ লিমিটেডের বিরুদ্ধেও প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পের নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে ওই দুই সংস্থা। টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে কেডি সিংয়ের ওই দুই সংস্থা। কয়েক কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে।
২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন কেডি সিং। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, "কেডি সিং যে প্রতারক, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। এখানে তাঁর আত্মীয় যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও প্রতারণার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ, বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়েছে প্রতারণা।“
অন্যদিকে, এই প্রতারণার মামলা সামনে আসতেই বিজেপি ও তৃণমূল উভয় দলের দিকে আঙুল তুলেছে সিপিআইএম। সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলকে টাকা দিয়ে রাজ্যসভার প্রতিনিধি হন তিনি। কেডি সিংয়ের টাকা খেটেছে এবং তৃণমূল তা থেকে লাভবান হয়েছে। সেই কেডি সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করতে এত সময় লাগল কেন বিজেপি-র? নির্দেশ দিতে এত সময় লাগল কেন কেন্দ্রের? বিজেপি কি ভেবেছিল, এনডিএ ২৭১ -এর কম আসন পেলে তৃণমূলের সাহায্য লাগবে, তাই এখন ঘাঁটাবে না তৃণমূলকে? আসলে তদন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলে, সেই তদন্ত কখনও সঠিক পথে এগোয় না।"
যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের যুক্তি, এই মামলা উত্তরপ্রদেশে হয়েছে। সেখানকার পুলিশ ও প্রশাসন এ নিয়ে উত্তর দেবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন