১০ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জি এন সাইবাবা। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ না থাকার কারণে তাঁকে মুক্তি দেয় বোম্বে হাইকোর্ট।
২০১৪ থেকে প্রায় দীর্ঘ ১০ বছর জেলবন্দি ছিলেন জি এন সাইবাবা। নিষিদ্ধ মাও সংগঠনের সাথে যোগাযোগের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৫৪ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী অধ্যাপক সাইবাবাকে। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (UAPA) মামলা দায়ের করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ সাইবাবা সহ এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া আরও ৬ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে।
এর আগে নিম্ন আদালত সাইবাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়। নিম্ন আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, আত্মগোপন করে থাকা মাওবাদীদের লেখাপড়া শিখিয়ে তাদের হিংসায় প্ররোচিত করছেন ৯০ শতাংশেরও বেশী শারীরিকভাবে অক্ষম সাইবাবা।
নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সাইবাবা। সেই সময় মুক্তিও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একটি আরজির ভিত্তিতে হাইকোর্টকে মামলাটি নতুন করে শোনার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই মুহূর্তে নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দী আছেন তিনি।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি বিনয় যোশী এবং বিচারপতি বাল্মীকি এস এ জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের জেলে রাখার মতো কোনও উপযুক্ত প্রমাণই নেই। তাই সকলকে মুক্তি দেওয়া হলো।
যদিও বোম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করে মহারাষ্ট্র সরকার। শিন্ডে সরকার বোম্বের হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মাওবাদী যোগের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছিল সাইবাবা সহ মোট ৬ জনকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি মাওবাদীদের শিক্ষিত করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়াচ্ছেন। সেই সময় নিম্ন আদালত সাইবাবা সহ সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ২০২২ সালে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে সেই সময় সুপ্রিম নির্দেশ থাকার কারণে জেল থেকে বেরোতে পারেননি প্রতিবন্ধী সাইবাবা। শীর্ষ আদালত হাইকোর্ট জানিয়েছিল পুনরায় মামলাটি বিবেচনা করে দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন