এখনই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জি এন সাইবাবা। শনিবার, মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে বম্বে হাইকোর্টের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট (The Supreme Court) শীর্ষ আদালত।
জানা যাচ্ছে, আগামী ৮ ডিসেম্বর, মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত নাগপুর সেন্ট্রাল জেলেই থাকবেন মাওবাদী যোগসাজসে অভিযুক্ত সাইবাবা ও তাঁর সঙ্গীরা।
প্রায় আট বছর জেলে থাকার পর শুক্রবার জি এন সাইবাবাকে নির্দোষ ঘোষণা করে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যায় মহারাষ্ট্র সরকার। ছুটির দিনেই মামলাটি শোনেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম আর শাহ (Justice M R Shah) এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী (Justice Bela M Trivedi)-র বেঞ্চ। সেখানেই খারিজ হয়ে যায় বোম্বে হাইকোর্টের রায়।
বিভারপতির বেঞ্চ বলে, ‘এটি CrPC (কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর)-এর ৩৯০ ধারায় মামলা। তাই, হাইকোর্টের অবাঞ্ছিত আদেশ স্থগিত করা হচ্ছে।‘
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা এই মামলার কথা বলছি না, কিন্তু সাধারণভাবে মস্তিষ্ক সবচেয়ে বিপজ্জনক জিনিস। সন্ত্রাসবাদী বা মাওবাদীদের জন্য মস্তিষ্কই সবকিছু।‘
২০১৭ সালে, সাইবাবা সহ একাধিক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করে নিম্ন আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন সাইবাবা। গত শুক্রবার, বোম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি রোহিত দেও (Justice Rohit Deo) ও বিচারপতি অনিল পানসারে (Justice Anil Pansar)-র ডিভিশন বেঞ্চ সাইবাবার আর্জি মঞ্জুর করে। একইসঙ্গে, প্রাক্তন অধ্যাপককে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
বর্তমানে, নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন সাইবাবা সহ তাঁর সঙ্গীরা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সাইবাবাকে হুইল চেয়ারের উপর নির্ভর করতে হয়। সাইবাবার সঙ্গেই আরও পাঁচ আবেদনকারীকেও বেকসুর খালাস করে বোম্বে হাইকোর্ট। যাদের মধ্যে রয়েছেন কৃষক মহেশ করিমন তিরকি, কৃষক পান্ডু পোরা নরোতে, শিক্ষার্থী হেম কেশবদত্ত মিশ্র, সাংবাদিক প্রশান্ত সাংলিকার, ও বিজয় তিরকি (পেশায় শ্রমিক)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন