মহাত্মা গান্ধীর কোনও আইনের ডিগ্রি ছিল না। এমনকি কোনোদিন ইউনিভার্সিটিও যাননি উনি। ওনার কেবল হাই স্কুল ডিপ্লোমার ডিগ্রি ছিল। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।
গোয়ালিয়রে ডক্টর রাম মনোহর লোহিয়া মেমোরিয়াল লেকচারে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মনোজ সিনহা বলেন, “কিছু লোক হয়তো এটি সম্পর্কে জানেন। কিন্তু অধিকাংশই, এমনকি যাঁরা উচ্চশিক্ষিত, তাঁরাও মনে করেন গান্ধীজির আইনের ডিগ্রি ছিল। গান্ধীজির কোনো ডিগ্রি ছিল না। মঞ্চে এবং মঞ্চের সামনে উপস্থিত কিছু লোকের এর বিপরীত মতামত থাকতে পারে, তবে আমি তথ্যের ভিত্তিতে একথা বলছি।“ যদিও কোনও তথ্য তিনি পেশ করেননি।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, “আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মনে করেন মহাত্মা গান্ধীর আইনের ডিগ্রি ছিল। কিন্তু না, তিনি কোনোদিন আইন পড়েননি। এমনকি তিনি কোনোদিন ইউনিভার্সিটির দোরগোড়াতেও যাননি। তাঁর একমাত্র যোগ্যতা ছিল হাই স্কুল ডিপ্লোমা।“
ডিগ্রি না থাকলেও আমাদের চেষ্টা করে যেত হবে। সে কারণেই তিনি গান্ধীজির উদাহরণ তুলে ধরেছেন বলে জানান সিনহা। তিনি বলেন, কেবলমাত্র সত্যের পথে হেঁটে সবকিছু অর্জন করেছিলেন গান্ধীজী। এমনকি স্বাধীনতাও অর্জন করেছিলেন এবং দেশের জনক হয়ে উঠেছিলেন।
"তিনি আইন অনুশীলন করার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর আইনের ডিগ্রি ছিল না। তাঁর কোনও ডিগ্রিই ছিল না। অথচ কেউ কি বলতে পারে গান্ধীজি শিক্ষিত ছিলেন না। আমার মনে হয় না কারো এমন বলার সাহস আছে," বলেন সিনহা।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের এই মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট বলে কটাক্ষও করেছেন।
মনোজ সিনহার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী। টুইটারে তিনি লেখেন, "এম কে গান্ধী দুবার ম্যাট্রিক পাশ করেছেন - একটি, রাজকোটের আলফ্রেড হাই স্কুল থেকে এবং আর একবার ব্রিটিশ ম্যাট্রিকুলেশন, এটি লন্ডনের সমতুল্য। তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধিভুক্ত একটি আইন কলেজ - ইনার টেম্পল থেকে আইন পড়েন ও পরীক্ষায় পাস করে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং একই সাথে দুটি ডিপ্লোমা লাভ করেন, একটি ল্যাটিন এবং অন্যটি ফরাসি ভাষায়। J&K-এর ডেপুটি গভর্নরকে জানানোর জন্য এটা জানালাম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন