‘কর্ণাটকে বিজেপির ৪০ শতাংশ কমিশন সরকারের’ মতোই কাজ করছে রাজস্থানের গেহলট সরকারও। সোমবার, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন রাজস্থান সরকারের সেনা কল্যাণ মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুঢা।
নিজ সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘রাজস্থান সরকারের দুর্নীতি ৪০ শতাংশেরও বেশি। এখানে টাকা ছাড়া কোনো ফাইল এগোয় না।’
একইসঙ্গে, রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুঢা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী গেহলটকে চিঠির পর চিঠি লিখছেন ভারত সিং। তিন বছর ধরে তিনি বিধানসভায় আসছেন না। অন্যদিকে, দুর্নীতি করছেন শান্তি ধারিওয়াল এবং প্রমোদ জৈন ভাইয়া।’
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী গেহলটকেও খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ’গ্লাভসের মধ্যে হাতে হাত মিলিয়েছেন বসুন্ধরা রাজে ও অশোক গেহলট। তারই প্রভাবে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হন।‘
এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘সরকার দুর্নীতির সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। শচীন পাইলট আমাদের নেতা, উনি যে সিদ্ধান্তই নেবেন, আমরা তা মেনে নেব। ২০২৩ সালের সিদ্ধান্ত জনগণই নির্ধারণ করবে।‘
সোমবার জয়পুরে পাইলটের জন আক্রোশ যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ করেন মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুঢা।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচারে সেখানকার বিজেপি সরকারকে ‘৪০ শতাংশ কমিশনে’র সরকার বলে বিঁধছিল কংগ্রেস। বিজেপির দুর্নীতির ইতিবৃত্ত তুলে ধরতে একটি রেট কার্ডও হাজির করেছিল কংগ্রেস। এ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তোলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তারই জেরে কর্ণাটক ৪০ টি বিধানসভা আসন খোয়াতে হয়েছে বিজেপিকে। ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির।
এবার, সেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিজ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করলেন রাজস্থানের সেনা কল্যাণ মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন