কংগ্রেসে আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে বিদ্রোহ? জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেসের প্রচার কমিটির শীর্ষপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। একইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির (Political Affairs Committee) সদস্য পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই নানা বিষয়ে সরব আজাদ। দলে নেতৃত্ব বদলের যে দাবি উঠেছিল তাতেও সামিল হয়েছিলেন। কংগ্রেসের যে ২৩ জন প্রবীণ নেতা দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে চিঠি লিখে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানান, সেই তালিকায় আজাদও ছিলেন।
সেই দিক থেকে, গত মঙ্গলবার আজাদকে প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করার পরে অনেকেই মনে করেন, দলে আবারও স্বমহিমায় ফিরতে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, না। সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেসের শীর্ষ কমিটির সদস্য। তিনি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। তাঁর মতো প্রবীণ নেতাকে প্রচার কমিটি ও পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান করা আদতে তাঁর পক্ষে অসম্মানজনক এবং রাজনৈতিক অবনতিও। সেই কারণেই দায়িত্ব পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দেন তিনি।
এছাড়া জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের রদবদল নিয়েও অসন্তুষ্ট গুলাম নবি আজাদ। তাঁর ঘনিষ্ঠরা কংগ্রেস কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়াতেও অসন্তুষ্ট হয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটি থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
বিক্ষুব্ধ নেতাদের ক্ষোভ ধামাচাপা দিতে গত মে মাসে উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের পরে গুলাম নবি, আনন্দ শর্মাকে সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য করা হয়। তারপরেও অবশ্য রাজ্যসভায় না ফেরানো নিয়ে গুলাম নবিরা ক্ষুব্ধ বলে শোনা গিয়েছিল।
এছাড়া, গুলাম নবি আজ়াদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ গুলাম আহমেদ মীরকে কংগ্রেসের জম্মু-কাশ্মীর কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বদলে দায়িত্ব দেওয়া হয় ভিকর রসুল ওয়ানিকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন