কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের পদ্মভূষণ পুরস্কার পাওয়ার কথা ঘোষোণা হতেই কংগ্রেসের অন্দরে তর্জা শুরু হয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘জি-২৩’ এর সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সমর্থকদের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট। প্রকাশ্যে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছেন দুই গোষ্ঠী। বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের গোষ্ঠী ‘জি-২৩’-র সদস্যরা গুলাম নবি আজাদকে ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কারের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা, গুলাম নবি আজাদকে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন – “জনসেবা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রে তাঁর আজীবন অবদানের যথাযথ স্বীকৃতির জন্য গোলাম নবিজীকে আন্তরিক অভিনন্দন।”
আর এক বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল লিখেছেন – “গুলাম নবি আজাদ পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছেন। ভাইজানকে অভিনন্দন। পরিহাসের বিষয় এই যে কংগ্রেসের তাঁর প্রয়োজন নেই, অথচ দেশ তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ”
কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর লিখেছেন – “অভিনন্দন গুলাম সাহাব! আপনি একজন বড় ভাইয়ের মতো। আপনার অনবদ্য কৃতিত্ব এবং গান্ধীবাদী আদর্শের প্রতি অঙ্গীকার সবসময়ই একটি অনুপ্রেরণা।”
যদিও কংগ্রেস নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কিন্তু পদ্ম পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ তার সহকর্মীকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করে – “গুলাম, আজাদ নয় (ক্রীতদাস, মুক্ত নয়)” বাক্যাংশটি ব্যবহার করেন।
মিঃ রমেশ সিপিআই(এম) নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের কথা উল্লেখ করে ট্যুইট করেছেন, “সঠিক কাজই করেছেন। তিনি ‘আজাদ’ হতে চান, গোলাম নয়।”
এই ঘটনায় কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। গুলামকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন