Giriraj Singh: দেশজুড়ে এনআরসি-র পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর

এক ট্যুইট বার্তায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "জাহাঙ্গীরপুরীর ঘটনার পর, দেশের চিরন্তন সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। তাই দেশে এনআরসি কার্যকর করার সময় এসেছে।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংফাইল ছবি- সংগৃহীত
Published on

দিল্লির জাহাঙ্গিপুরীতে হিংসার ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) দেশব্যাপী বাস্তবায়নের পক্ষে পরামর্শ দিলেন। এক ট্যুইট বার্তায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "জাহাঙ্গীরপুরীর ঘটনার পর, দেশের চিরন্তন সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। তাই দেশে এনআরসি কার্যকর করার সময় এসেছে। আমি বিশ্বাস করি এটি 'রাস্তা' থেকে 'সংসদ' পর্যন্ত আলোচনার বিষয়।”

তিনি আরও বলেন, "জাহাঙ্গীরপুরীর ঘটনার সময় যারা উপস্থিত ছিলো তারা নাগরিক সংশোধনী আইনের (সিএএ) সময় সরকারের বিরুদ্ধে পতাকা ধরেছিল। তারাই রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী মিছিলে পাথর ছোঁড়ার সাথে জড়িত। তাছাড়া, তারা এসপি পদমর্যাদার অফিসারের উপর গুলি চালানোর সাথে জড়িত। 'টুকড়ে-টুকড়ে' গ্যাংয়ের লোকেরা তাদের সমর্থন করছে।”

এআইএমআইএম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, জাহাঙ্গীরপুরীর গরীব মানুষের সাথে অবিচার হচ্ছে। যে মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে গিরিরাজ সিং আরও বলেন, যখনই সরকার অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, যাদের কাছে জিন্নাহর ডিএনএ রয়েছে তখনই তারা সর্বদা হিন্দু-মুসলিম করে।

গিরিরাজ সিং-এর বক্তব্য অনুসারে, "এমসিডি আইনের অধীনে বুলডোজারের মাধ্যমে অবৈধ কাঠামো ভাঙা হয়েছে। আইন হিন্দু এবং মুসলিমকে আলাদা করতে পারে না। সেখানে একটি অবৈধ কাঠামো ছিল এবং কর্তৃপক্ষ এটি নিয়ে কাজ করেছে। আমাদের এমসিডির প্রচেষ্টার প্রশংসা করা উচিত।"

অন্যদিকে, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন: "সুপ্রিম কোর্ট আদেশের পরেও এমসিডি ধ্বংস করা বন্ধ করেনি। এমসিডি কর্মকর্তারা যোগাযোগের অভাবের অজুহাত দিয়েছেন। চীন আমাদের অঞ্চলে দখল করে দুটি গ্রাম স্থাপন করেছে, কেন সরকার তা নিয়ে একটা কথাও বলছে না। ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে সরকার বুলডোজ করছে।"

তেজস্বী বলেন, "দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি। কেন্দ্র এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে না"। তিনি আরও বলেন, "উপ-নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের পর, সমাজে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করার জন্য বিজেপি এবং আরএসএস তাদের ঐতিহ্যগত রাজনীতি বেছে নিয়েছে। জাহাঙ্গীরপুরি এবং মধ্যপ্রদেশের ঘটনাগুলি এর প্রধান উদাহরণ।"

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in