বৃহস্পতিবার এক যুগান্তকারী রায়ে ইলেক্টোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডকে 'অসংবিধানিক' ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রকল্প বাতিল করে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে প্রকল্পের বৈধতা নিয়ে মামলা দায়ের করা সিপিআইএম।
সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই রায়কে স্বাগত। আমরা খুশি যে আমাদের বিরোধিতাকে সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চের এই সর্বসম্মত রায় বহাল রেখেছে। আমাদের তরফের কৌঁসুলি শাদান ফারসাত এবং অন্যদের অভিনন্দন যারা কার্যকরভাবে মামলার যুক্তি উপস্থাপন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের সামনে।“
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, কে অনুদান দিচ্ছে, তার নাম প্রকাশ না করা রাইটস টু ইনফরমেশন এবং সংবিধানের ১৯(১)(এ) ধারা লঙ্ঘন করে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে অবিলম্বে বন্ড বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিলের পর থেকে কেনা সমস্ত নির্বাচনী বন্ডের বিশদ তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে এসবিআইকে। আগামী ৬ মার্চের মধ্যে এখনও পর্যন্ত বিক্রিত সমস্ত ইলেক্টোরাল বন্ডের বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেবার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ১৩ মার্চ-এর মধ্যে এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ করারও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, ইলেক্টোরাল বন্ড হল সুদ বিহীন বন্ড, বিভিন্ন টাকার অঙ্কে এই বন্ডগুলি পাওয়া যায়, যেমন ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ১ কোটি টাকার। যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা যে কোনও মূল্যের বন্ড এসবিআই থেকে কিনে চাঁদা হিসাবে তা রাজনৈতিক দলগুলিকে দিতে পারেন। বন্ডগুলি ভাঙিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি। কারা বন্ডগুলি দিয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করতে হয় না রাজনৈতিক দলগুলিকে। এই প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে সিপিআইএম সহ চারটি সংস্থা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন