কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনেই বাড়ির বাইরে বেরোবেন, অযথা বেরোবেন না। উন্নাওয়ের গণধর্ষিতাকে এই নির্দেশ দিল দিল্লির একটি আদালত। বাইরে বেরোনোর আগে নিরাপত্তা রক্ষীকে অবশ্যই জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
গত মাসে নিজের নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনে দিল্লির জেলা ও দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ধর্মেশ শর্মা সোমবার নির্যাতিতাকে বলেছেন, "কেবলমাত্র প্রয়োজন পড়লে তবেই বাইরে বেরোবেন। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।"
আদালত আরও বলেছে, যদি নির্যাতিতা বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য কোনো বিচারাধীন মামলায় দিল্লির বাইরে যেতে চান, তাহলে তাঁরা যেন অবশ্যই সিআরপিএফ অ্যাসিসট্যান্ট কমান্ড্যান্টের সাথে যোগাযোগ করেন, যাতে যথাযথ নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়।
বিচারপতি জানিয়েছেন, অভিযোগকারী তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তাঁরা নিজেরাই শান্তিপূর্ণভাবে সেই বিষয়টির সমাধান করতে সম্মত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ যখন ওই নির্যাতিতা নাবালিকা ছিলেন, তখন বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনগার তাঁকে অপহরণ করেন এবং ধর্ষণ করেন। উন্নাও পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করছে না, এই অভিযোগ ওঠার পর মামলা উন্নাও থেকে দিল্লি স্থানান্তরিত হয় এবং তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ধর্ষণ মামলায় সেনগারকে বাকি জীবন জেলে কাটানোর সাজা শোনানো হয়। এর পরের বছর মার্চ মাসে সেনগার, তাঁর ভাই ও আরো পাঁচ জনকে নির্যাতিতার বাবাকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নির্যাতিতার বাবার মৃত্যুর পরই ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন