গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী জোট শক্তিশালী করতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে তৃণমূল। এরকম একটা প্রশ্ন গত বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশীয় রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছিল। অবশেষে সব জল্পনা অবসান ঘটাল কংগ্রেস।
রবিবার রাতেই বিদেশ থেকে ফেরেন রাহুল। তারপর দলের নেতাদের সঙ্গে আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে প্রস্তুতি-বৈঠক করেন। গোয়ার নির্বাচন নিয়েও বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত পি চিদম্বরম ও সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।
প্রসঙ্গত, শনিবারই তৃণমূলের গোয়ার ভারপ্রাপ্ত নেত্রী মহুয়া মৈত্র বিজেপি বিরোধী জোটে সব দলকে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি কংগ্রেসকেও আহ্বান জানান। পরে চিদম্বরম বলেছিলেন, কেউ কংগ্রেসকে সমর্থন করতে চাইলে স্বাগত। আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের পরই গুজব রটে, কংগ্রেস তৃণমূলের হাত ধরে নির্বাচনী বৈতরণী পার করার কথা ভাবছে।
কিন্তু তৃণমূল যেখানে কংগ্রেস থেকে ভাঙিয়ে নেতাদের নিজেদের দলে যোগদান করাচ্ছে, সর্বত্রই কংগ্রেসের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, নানাভাবে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে, তারপর কী করে গোয়ায় তৃণমূলের হাত ধরতে পারে কংগ্রেস? তা নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন ওঠে। এরপরেই বেণুগোপাল বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার গুজব পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও মিথ্যে।
এত দিন তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, গোয়ায় কংগ্রেস ঠিকমতো বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে না। উল্টো দিকে কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে ভাঙন ধরাচ্ছে। তাতে প্রকারান্তরে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে।
এদিকে গোয়ায় বিজেপির মন্ত্রী মাইকেল লোবো ও বিধায়ক প্রবীণ জান্তিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। লোবো জানান, কয়েকটি দলের সঙ্গে তাঁর কথা চলছে। লোবো বলেন, 'ভোটাররা আমাকে বলেছেন, বিজেপি আর সাধারণ মানুষের দল নেই। তাদের কাজকর্মে সাধারণ মানুষ অসন্তুষ্ট।' কংগ্রেসের অন্দরে অবশ্য লোবোর মতো বিজেপি নেতাদের যোগদান নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন