রাজ্যের সমস্ত ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের করোনা ত্রাণ হিসেবে দেওয়া নগদ অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে বিবেচনা করছে তামিলনাড়ু সরকার। বৃহস্পতিবার মাদ্রাজ হাইকোর্টকে একথা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সেন্থিলকুমার রামমূর্থির সমন্বয়ে গঠিত প্রথম বেঞ্চের কাছে সরকারের তরফ থেকে একথা জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল আর শানমুগাসুন্দরম। পর্যবেক্ষণটি রেকর্ড করার পর আগামী সোমবার পর্যন্ত আবেদনের শুনানি মুলতবি রেখেছে আদালত।
এক ট্রান্সজেন্ডার কর্মী গ্রেস বানুর করা আবেদনের শুনানিতে আদালতে একথা জানিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। আবেদনে গ্রেস বানু জানিয়েছিলেন, তাঁর সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ সদস্যেরই রেশন কার্ড নেই। বর্তমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা অত্যন্ত জরুরি ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জন্য। সরকার বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দিলেও রেশন কার্ডের অভাবে তা সংগ্রহ করতে পারছেন না বেশিরভাগই। এই পরিস্থিতিতে যাদের রেশন কার্ড নেই তাদের করোনা ত্রাণ হিসেবে নগদ অর্থ দেওয়া হোক এবং অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হোক।
আবেদনকারী আরো জানিয়েছেন, রাজ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি রয়েছেন। কিন্তু সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগ দাবি করেছে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাদের চালানো সমীক্ষাতে মাত্র ১১,৪৪৯ জন ট্রান্সজেন্ডারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, এদের মধ্যে মাত্র ২,৫৪১ জনের কাছে রেশন কার্ড রয়েছে। ফলে বিশাল সংখ্যক ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
গ্রেস বানুর এই আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। তার জবাবে সরকার আদালতে জানিয়েছে, এই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে সরকার।
প্রসঙ্গত, করোনা ত্রাণ হিসেবে রাজ্যের প্রত্যেক রেশন কার্ডধারীদের ৪,০০০ টাকা ও বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। চলতি মাসে প্রথম কিস্তির ২ হাজার টাকা সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন