মুড়ি, আটা, ডাল, পনির সহ একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে ৫% জিএসটি বসালো কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কগুলির চেকবইতেও এবার থেকে ১৮% জিএসটি বসতে চলেছে।
বিভিন্ন দ্রব্যের উপর জিএসটি নির্ধারণের জন্য মঙ্গলবার নির্মলা সীতারামণের নেতৃত্বে দু’দিন ব্যাপী বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দই, পনির থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের চেকবই, এলইডি লাইট, প্রিন্টারের কালি সহ বিভিন্ন জিনিসের উপর ৫%-১৮% জিএসটি চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেসব হোটেলের ঘর ভাড়া ১০০০ টাকার কম তাদের উপর ১২% জিএসটি বসানো হয়েছে।
ক্যাসিনো, অনলাইন গেমিং এবং ঘোড়দৌড় প্রভৃতি খেলা নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির সাথে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল কেন্দ্রের। তা নিয়েও বুধবার আলোচনা হওয়ার সম্ভবনা আছে। এই বৈঠকে মূলত ঐ খেলাগুলির উপর চাপানো ২৮% জিএসটি কমানোর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
উল্লেখ্য, চামড়াজাত পণ্য, মাটির ইটের উপর জিএসটি ৫% থেকে ১২% করা হয়েছে। আর এলইডি লাইট, কালি, ছুরি, ব্লেড, চামচ, দুগ্ধজাত যন্ত্রপাতির উপর জিএসটি ১২% থেকে ১৮% শতাংশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অমিত মিত্র জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন। মঙ্গলবার ফের তিনি নির্মলা সীতারামণকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন সিদ্ধান্তগুলি কেবলমাত্র পরিসংখ্যান ভিত্তিক যেন না হয়। সবার মতকে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি এদিন সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশের উল্লেখ করেন। যাতে বলা হয়েছিল জিএসটি পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয় রাজ্য সরকারগুলি। এর পাশাপাশি বেশকিছু রাজ্য কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য ৫০% জিএসটি-র বদলে ৭০-৮০% জিএসটি দাবি করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন