মুদ্রাস্ফীতির জেরে এমনিতেই বেসামাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। তারপর দুধ, পনির-এর মতো দুগ্ধজাত পণ্যের উপর যেভাবে জিএসটি চাপানো হয়েছে, তাতে বিপর্যয় নেমে আসবে বলে মনে করছে কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের মতে, ছোট ডেয়ারি এবং কৃষকদের উপর এটি (GST) ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ হিসাবে নেমে আসবে, যারা ইতিমধ্যেই মুদ্রাস্ফীতির জেরে নিজেদের খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন।
সর্বভারতীয় কৃষক সভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালে বলেন, ‘জিএসটি কাউন্সিলের ৪৭ তম বৈঠকে দুগ্ধজাত পণ্যের উপর ৫% জিএসটি চাপানোর সুপারিশ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, দুগ্ধজাত শিল্পের যন্ত্রাংশের উপর কর ছাড়ের পরিবর্তে, করের হার ১২% থেকে ১৮% বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদনে নিযুক্ত প্রায় ৯ কোটির বেশি পরিবারকে প্রভাবিত করবে।’ তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক কর্তৃত্বের পাশাপাশি পুঁজির কেন্দ্রীকরণ চাইছে বিজেপি। পদক্ষেপ সেই দিকেই যাচ্ছে।'
বর্ষীয়ান এই কৃষক নেতা নিউজক্লিক (NewsClick)-এ বলেন, ‘দুধ উৎপাদনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ হল ভারত। এখানে প্রায় ৭৫% গ্রামীণ পরিবারে ২-৪ টি গরু রয়েছে। এছাড়া, নিন্মবর্গের মহিলা এবং কৃষকরা মূলত ডেয়ারি শিল্পের উপর নির্ভরশীল। জিএসটি-তে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা কোনও উপকারে আসবে না উৎপাদক বা উপভোক্তাদের। মূল্যবৃদ্ধির জেরে দুর্বল শ্রেণী, বর্ণ ও লিঙ্গের মানুষের পুষ্টির চাহিদার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
তিনি দাবি করেন, সংবিধানের ‘মূল পরিকাঠামো’ এবং সমবায় ফেডারেলিজমের সকল সত্তাকে নষ্ট করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবে জিএসটি-কে ব্যবহার করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
কৃষক নেতার অভিযোগ, ‘রাজ্যগুলি স্বতন্ত্রভাবে কর ব্যবস্থা ডিজাইন করার ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার কারণে, কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব নীতি অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। জিএসটি চালুর পর, গত ৫ বছরে যে আর্থিক নীতি প্রণয়ন হয়েছে, তাতে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। আর দরিদ্র কৃষক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দুর্বল হয়েছে।’
With Inputs from- NewsClick
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন