বস্ত্রশিল্পে GST ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ করল কেন্দ্র, বিক্রি কমার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা দাম বাড়লেই বিক্রি কমবে। সমানুপাতিক হারে উৎপাদনও কমে যাবে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

করোনা পরিস্থিতিতে গোটা দেশ তো বটেই ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বের অর্থনীতি। এই ধাক্কার রেস কবে কাটবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সব মহল। মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে সবকিছুরই। এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে জিএসটি। বাদ পড়েনি বস্ত্রশিল্প। ফলে এই শিল্পে বৃদ্ধি পেয়েছে সঙ্কট। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাদের সমস্যার কথাই জানালেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।

বস্ত্রশিল্পে জিএসটির হার ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ করেছে কেন্দ্র। আগামী বছর থেকে এই বর্ধিত জিএসটি লাগু হবে। আর তার প্রভাব পড়বে আমজনতার উপর। বস্ত্রর মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিসের এইভাবে জিএসটি বৃদ্ধিতে ইতিমধ্যে কপালে ভাঁজ পড়েছে সবার। ক্রেতা কমবে, উৎপাদন কমবে। এর ফলে কর্মহীন এর সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সবদিকের কথা ভেবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলা রেডিমেড গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকটারার্স অ্যামন্ড ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আলমগীর ফকির জানান, ' জিএসটি ৭ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় বস্ত্র শিল্পে প্রভূত ক্ষতির সম্ভাবনা। এর চাপ পড়বে ক্রেতাদের উপর। ফল ভুগতে হবে তাদের। বেকারত্বও বাড়বে। ' ব্যবসায়ীদের দাবি, এর জেরে সঙ্কটে পড়বে বস্ত্র শিল্প ও শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা।

ওয়েস্ট বেঙ্গল হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অশোক টোডি জানালেন, দাম বাড়লেই বিক্রি কমবে। সমানুপাতিক হারে উৎপাদনও কমে যাবে। এরকমটা না করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

ওয়েস্ট বেঙ্গল গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন- এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজয় কারিওয়ালার আক্ষেপ, 'করোনায় ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। বস্ত্র নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। এর দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বে।' যে তিনটি সামগ্রি না হলে মানুষের জীবনধারণ হয় না, সেই জিএসটি বৃদ্ধিতে আমজনতা যে কতটা সমস্যায় পড়বে, তা নিয়ে চিন্তিত সব মহল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in