গুজরাটের কচ্ছে মন্দিরে ঢোকার অপরাধে এক দলিত পরিবারের ছ’জন নিগ্রহের শিকার হলেন। প্রায় ২০ জনের এক দল ওই দলিত পরিবারের ওপর আক্রমণ চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে কচ্ছের ভাচুয়া তালুকার গান্ধীধাম অঞ্চল সংলগ্ন নেড় গ্রামে গত ২৬ অক্টোবর। ওইদিনই দু’বার ওই পরিবারের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
পুলিশি সূত্র অনুসারে, ওই অঞ্চলের অধিবাসী গোবিন্দ বাঘেলা এবং তাঁর পরিবার গত ২০ অক্টোবর স্থানীয় এক মন্দিরে যান। এরপরেই স্থানীয় হিন্দুদের একটি দল তাঁদের ওপর আক্রমণ চালায়। উত্তেজিত জনতার দল গোবিন্দ বাঘেলার বাড়িতে চড়াও হয় এবং ভাঙচুর চালায়। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তখন তাঁদের ওপরেও লাঠি, রড নিয়ে আক্রমণ চালায় ওই উত্তেজিত জনতা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে গুজরাটের কংগ্রেস নেতা জিগনেশ মেভানী শনিবার এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় এবং শুধুমাত্র গ্রেপ্তার করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আমি গুজরাটে অস্পৃশ্যতার এই ধরণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং কড়া ব্যবস্থা নেবার দাবিতে বিধানসভায় তিন-চার বার সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছি।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গোবিন্দ বাঘেলার পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকটি টিম গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ঘটনার পরেই ভুজের সিভিল হাসপাতালে ছ’জনকে ভর্তি করা হয়। এঁদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া এবং গেছে এবং অনেকেরই মাথায় আঘাত ছিলো।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা গেছে। তাঁদের নাম কানা আহীর, জীভা আহীর, ভেলা আহীর, অর্জন রাবারি, দীনেশ বালসারা, রাজেশ বালসারা, রানা বালসারা প্রমুখ। এঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৭ ধারা অনুসারে (খুনের চেষ্টা), ধারা ৩২৩ (আক্রমণের চেষ্টা), ধারা ৩০৭ (সাংঘাতিক অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ), ধারা ৪৫২ (অনধিকার প্রবেশ), ধারা ১২০ বি, ধারা ৫০৬ এবং ধারা ২৯৪ বি অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন