পড়ুয়াদের বিজেপিতে যোগদান করতে বলে বিপাকে পড়লেন কলেজের প্রিন্সিপ্যাল। যার জেরে প্রিন্সিপ্যালকে পদত্যাগের নোটিশ ধরালো ঐ কলেজের ট্রাস্টিস। ঘটনাটি ঘটেছে এন.সি. গান্ধী ও বি.ভি. গান্ধী মহিলা আর্টস অ্যান্ড কমার্স কলেজে।
জানা গেছে, ২৪ জুন কলেজের প্রিন্সিপ্যাল রঞ্জনবেন গোহিল ছাত্রীদেরকে পাসপোর্ট সাইজের ফটো আনার জন্য সার্কুলার জারি করেন। সাথে এও বলেন, যারা কর্পোরেশন এলাকায় থাকেন তাদেরকে বিজপির নির্বাচনী পেজ কমিটিতে যুক্ত করা হবে। নির্বাচনী পেজ কমিটিতে নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর তারা কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
এই সার্কুলার ঘিরে কলেজে তোলপাড় শুরু হয়। বিরোধীরা এই ঘটনার সমালোচনা শুরু করে। চাপে পড়ে কলেজ ট্রাস্টিস ধীরেন বৈষ্ণব এক জরুরী বৈঠক ডাকেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি শোনেন। বক্তব্য শোনার পর তিনি প্রিন্সিপ্যালকে পদত্যাগ করতে বলেন।
ধীরেন বৈষ্ণব বলেন, “আর্টস এবং কমার্স কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে। যার মূল উদ্দেশ্য হল মেয়েদের শিক্ষাদান করা। তাদেরকে গোটা বিশ্বের কাছে উপযুক্ত করতে সাংস্কৃতিক ও শারীরিক শিক্ষা প্রদান করা। এই কলেজের মধ্যে কখনোই রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ঢোকেনি। কলেজ প্রিন্সিপ্যালের এমন আচরণ রীতিমত কলেজের বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে। যার জন্যই তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।"
বিষয়টি নিয়ে হতবাক কলেজ পড়ুয়ারাও। স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ভোট রাজ্যের কলেজগুলিতে অনুমোদিত নয়। যদিও বিভিন্ন কলেজে ছাত্র ইউনিয়ন আছে। ভারতের জাতীয় ছাত্র পরিষদ কলেজের ট্রাস্টির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এনএসইউআই নেতা গিরিরাজসিংহ ভালা বলেন, “শুধু প্রিন্সিপ্যাল নয়, ট্রাস্টিসকেও শাস্তি দেওয়া উচিত।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন