প্রায় ১০ মাসেরও বেশি সময় অকার্যকর অবস্থায় থাকার পর অবশেষে রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডে পাঁচজন নয়া সদস্য নিয়োগ করল গুজরাট সরকার। তবে উল্লেখযোগ্য, নব-নিযুক্ত পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনই বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বাকি একমাত্র সদস্য, জামালপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইমরান খেড়াওয়ালা। পাশাপাশি, রাজ্যে কোনও মুসলিম সাংসদ না থাকায় গোধরা পুরসভার সদস্য সোফিয়া জামালভাইকে রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
গুজরাটের প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি স্থাবর সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করে রাজ্যের এই ওয়াকফ (Waqf) বোর্ড। এর আগে, প্রয়াত কংগ্রেস সাংসদ আহমেদ পটেল এই বোর্ডের সংসদীয় প্রতিনিধির পদে ছিলেন। বিজেপি শাসিত গুজরাটের রাজ্য প্রশাসনের আইনি বিভাগের তরফে গত ৭ নভেম্বর প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বোর্ডে একজন পেশাদার শহর পরিকল্পনাবিদের পদ শূন্য ছিল। সেই শূন্যপদে রেডিওলজিস্ট মহসিন লোখান্ডওয়ালাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপি কর্মী হওয়ার পাশাপাশি দলের সংখ্যালঘু শাখার রাজ্য সভাপতি পদেও রয়েছেন ডাঃ মহসিন।
অন্যদিকে, রাজ্যে মুসলিম সাংসদের অভাব থাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত সোফিয়া জামালভাইকে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। বিজেপি কর্মী হিসেবে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও গোধরা নগর পালিকার নির্বাচনে সোফিয়া একজন নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। এছাড়াও শিয়া ও সুন্নি ইসলামিক ধর্মতত্ত্বে স্বীকৃত পণ্ডিত হিসেবে বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বিজেপি কর্মী জিশান নকভি এবং বিজেপি কর্মী তথা দলের সংখ্যালঘু শাখার সদস্য আসিফ কাদেরকে।
এই বোর্ডের পঞ্চম তথা শেষ সদস্য কংগ্রেসের জামালপুর কেন্দ্রের প্রার্থী ইমরান খেড়াওয়ালা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ডাঃ মহসিন লোখান্ডওয়ালা জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকার ওয়াকফ বোর্ডের জন্য একজন মহিলা সদস্য-সহ মোট পাঁচজন সদস্য মনোনীত করেছে। এখন মুত্তাওয়ালি (প্রশাসক) থেকে আরেকজন সদস্য নির্বাচিত হবেন। বার কাউন্সিলের মুসলিম আইনজীবীরা রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী সদস্য হিসেবে একজনকে নির্বাচিত করে রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর নাম পাঠাবেন। রাজ্য সরকার নিযুক্ত একজন GAS (গুজরাট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস) বা একজন আইএএস’ও বোর্ডের সদস্য হবেন।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন