প্রকাশ্যে আমিষ খাবার বিক্রি করা যাবে না। যদি একান্তই তা বিক্রি করতে হয়, করতে হবে রেখেঢেকে। এমনই কড়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে গুজরাটের আমেদাবাদে। স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় জনবহুল এলাকাগুলিতে আগে ব্যবসায়ীরা আমিষ খাবার বিক্রি করতেন। এখন তাঁরা পড়ে গিয়েছেন বিপদে। নয়া এই নিয়মের ধাক্কায় রুজিরুটি হারিয়ে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সংস্থাকে এক আমিষ স্টলের মালিক জানান, 'হোটেলগুলিকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের নিষিদ্ধ করা হচ্ছে কেন? সেখান থেকে কি আমিষের গন্ধ বেরোবে না?' অন্য এক বিক্রেতার দাবি, 'আমি তো শুনেছিলাম ডিম বিক্রি করায় সমস্যা আছে। কিন্তু আমি স্যান্ডউইচ বিক্রি করি। আমাকেও বসার অনুমতিই দেওয়া হচ্ছে না।'
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল অবশ্য আমিষ-নিরামিষের দ্বন্দ্বকে অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, এটা আমিষ-নিরামিষের ব্যাপার নয়। মানুষ যা চায় খেতে পারেন। কিন্তু খাবারের স্টলের জন্য রাস্তায় ট্র্যাফিকের কোনও সমস্যা যেন না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। সেই সঙ্গে খাবার যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি হয়, সেদিকেও জোর দিতে চান তিনি। পুরো সিদ্ধান্তটাই স্থানীয় প্রশাসনের বলে দাবি তাঁর।
আহমেদাবাদ পুরসভার নির্দেশ, স্কুল-কলেজ ও ধর্মীয় স্থানের ১০০ মিটারের মধ্যে এই ধরনের স্টল করা যাবে না। বরোদা ও রাজকোটেও এই নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে।
বিজেপি নেতা তথা বরোদার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিতেন্দ্র প্যাটেল খোলাখুলিই জানিয়ে দিয়েছিলেন, 'সব আমিষ পদই এমন ভাবে ঢেকে রাখতে হবে, যেন পথচলতি কোনও মানুষের চোখে না পড়ে। এতে তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। এতকাল আমিষ পদ খোলাখুলি বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার পরিবর্তনের সময় এসেছে। আমিষ খাবার যেন দেখা না যায়।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন