Gujarat Riots: শীর্ষ আদালতে জাকিয়া জাফরির আবেদন খারিজ, গুজরাট দাঙ্গা মামলায় নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট

২০০২ সালে আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে হিংসার ঘটনায় প্রাণ হারান কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরি। এর জেরে গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি।
নরেন্দ্র মোদী এবং জাকিয়া জাফরি
নরেন্দ্র মোদী এবং জাকিয়া জাফরিফাইল ছবি
Published on

২০০২ গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীদের ক্লিনচিট দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় মামলা দায়ের করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়া। শুক্রবার, সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (The Supreme Court)।

২০০২ সালে আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে হিংসার ঘটনায় প্রাণ হারান কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরি। এর জেরে গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি (Zakia Jafri)। পরে এই মামলায় গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ অন্যন্যদের ক্লিনচিট দেয় সিট। ২০১৭ সালে গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)ও সেই ক্লিনচিট বহাল রাখে।

সেই ক্লিনচিটকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন জাকিয়া। দীর্ঘদিন ধরে ওই মামলার শুনানি চলে। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ম্যারাথন শুনানির পরে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। প্রায় সাত মাস বাদে এদিন মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়া সিটের ক্লিনচিটের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত।

বিচারপতি এ. এম খানউইলকর-এর (Justice A.M. Khanwilkar) নেতৃত্বাধীন বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী (Justices Dinesh Maheshwari) এবং সি.টি. রবিকুমার (C.T. Ravikumar)-এর বেঞ্চ এদিন জাকিয়া জাফরির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের সিদ্ধান্তকে বহাল রেখেছেন।

শুক্রবার রায়দানের সময় বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, জাকিয়ার পিটিশনের ভিত্তি নেই এবং সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার যোগ্য।

শুনানির সময়, SIT-এর পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহতগি (Mukul Rohatgi) উপস্থিত ছিলেন। আদালতে তিনি এদিন বলেন, গুজরাট হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করা উচিত শীর্ষ আদালতের। তিনি জানান, ‘না হলে এটি আজীবন চলতে থাকবে। যেভাবে এই মামলায় চাপ তৈরির জন্য দ্বিতীয় পিটিশন দাখিল করেছেন সমাজকর্মী তিস্তা শীতলাবাদ (Teesta Setalvad)।

শেষে রোহাতগি আদালতে বলেন, ‘২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার তদন্ত নিয়ে কেউ কিন্তু আগে ‘আঙুল তোলেনি’।

আদালতে মামলাকারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বাল (Kapil Sibal)। তিনি আদালতে সওয়াল করে বলেন, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা হয়নি।

একইসঙ্গে আইনজীবী সিব্বাল বলেন, ‘যেভাবে শীতলাবাদের সংগঠনের কাজ তুলে ধরে তাঁদের গুজরাট বিরোধী বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে তা অন্যায়।‘

আদালতে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি (দাঙ্গা নিয়ে মামলা) বন্ধ করা যেতে পারে, যদি এটি (দাঙ্গা) কেউ না করে থাকে এবং কেউ না করে বলেই এসব সংঘটিত হয়। তবে, আপনি যদি মনে করেন যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তাহলে কে দায়ী তা তদন্তের বিষয়।’

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in