গুজরাটের ভালসাদের একটি স্কুলের বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ১১-১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য বিতর্কের বিষয় ছিল ‘নাথুরাম গডসে, আমার পথ প্রদর্শক’। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে, গুজরাট সরকার বুধবার ভালসাদের যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মিতাবেন গাভলিকে বরখাস্ত করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গডসেকে ১৯৪৯ সালে ৩০ জানুয়ারী, মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
ভালসাদের ‘কুসুম বিদ্যালয়’ জেলা-স্তরের শিশু প্রতিভা অন্বেষণের জন্য এই বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানে ১১-১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের তিনটি বিষয়ের উপর বলতে বলা হয়েছিল – ‘আমি আকাশে উড়ে যাওয়া পাখি পছন্দ করি’, ‘আমি বিজ্ঞানী হব কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাব না’ এবং ‘নাথুরাম গডসে, আমার আদর্শ’। জানা গেছে, একজন ছাত্র মহাত্মা গান্ধীর সমালোচনা এবং নাথুরাম গডসেকে ‘নায়ক’ হিসাবে বর্ণনা করে বক্তব্য রাখে। প্রতিযোগিতায় তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
ভালসাদ জেলা কালেক্টর ক্ষিপ্রা আগ্রে সাংবাদিকদের বলেন – “মিতাবেন গাভলি, যিনি অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিলেন, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা অন্যান্য আধিকারিকদের ভূমিকার বিষয়েও তদন্ত করছি।” স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি গান্ধীনগরে সাংবাদিকদের বলেছেন যে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং দায়ী সকলকে বরখাস্ত করা হবে।
স্কুলের জারি করা প্রেস বিবৃতি অনুসারে, ২৫ টিরও বেশি স্কুল ‘জেলা শিশু প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায়’ অংশগ্রহণ করেছিল। বক্তৃতা প্রতিযোগিতা দুটি বয়সের গ্রুপের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৭ থেকে ১০ এবং ১১ থেকে ১৩। অল্পবয়সী দলের জন্য জেলা কর্তৃপক্ষ যে বিষয়গুলির দিয়েছিল, সেগুলি হল – ‘বিপ্লবী বীর ভগত সিং’, ‘আমার স্কুলব্যাগের ওজন আমার চেয়ে বেশি’ এবং ‘শীত ঋতুর উপকারিতা’।
মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী টুইট করেছেন, “নতুন ভারতে, খুনিরা নায়ক।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন