সাদা খাতার সাথে ১০ লক্ষ টাকা দিলেই পাস করিয়ে দেওয়া হবে নিট পরীক্ষার্থীদের! এমনই চুক্তির অভিযোগ উঠেছে গুজরাটের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এতদিন পশ্চিমবঙ্গে শোনা যাচ্ছিল সাদা খাতা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। এবার বিজেপি শাসিত গুজরাটেও একই অভিযোগ উঠলো। ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষাতে এমন দুর্নীতির অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার গোধরার একটি স্কুলে। রবিবার ডাক্তারি প্রবেশিকার পরীক্ষা নিট (National Eligibility-cum-Entrance Test) ছিল। গুজরাটে সেই পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষাকেন্দ্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েই ছুটে যান ওই জেলার জেলা শাসক। সেখানে গিয়ে তিনি শোনেন, তুষার ভাট নামের এক পদার্থবিদ্যার শিক্ষক টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের পাস করানোর টোপ দিয়েছেন। তারপরই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু ওই শিক্ষক নন তাঁর সাথে যুক্ত আছেন আরিফ ভোরা এবং পরশুরাম রায় নামের দুই ব্যক্তি। শিক্ষক তুষার ভাট পরীক্ষার্থীদের বলেন, উত্তরপত্র সাদা রেখে দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দিলেই তাদের উত্তরপত্রে সঠিক উত্তর লিখে দিয়ে পাস করানো হবে। অগ্রিম হিসেবে ৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে। ওই শিক্ষকের গাড়ি তল্লাশি করে ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, তুষার ভাটের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন ওই শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছান জেলার অতিরিক্ত কালেক্টর এবং জেলা শিক্ষা আধিকারিক। সেই সময় তুষার ভাটের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখেন তাঁরা। মোবাইলেই ১৬ জন পরীক্ষার্থীর নামের তালিকা পাওয়া যায়। এই ১৬ জনের মধ্যে নাকি ৬ জনকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় পাস করানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
অভিযুক্ত শিক্ষক পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি টাকার বিনিময়ে পাস করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যারা টাকা দিতে রাজি হয়েছিল তাদেরকে শুধু জানা প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছিল। বাকি প্রশ্নের উত্তর তিনি পূরণ করে দেবেন বলে বলেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন