Gujarat: দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ব্যাঙ্ক প্রতারণা, ২৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট এবিজি গোষ্ঠীর

যে যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে, সেগুলির মধ্যে আছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ব্যাঙ্ক প্রতারণা। ২৮টি ব্যাঙ্ক থেকে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এবিজি গোষ্ঠী। ঋণ শোধ তো দূরের কথা। কার্যত তা লোপাট হয়ে গিয়েছে। সিবিআই গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই ব্যাপারে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। গোষ্ঠীর মালিকানাধীন জাহাজ কোম্পানি এবিজি শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে বিপুল ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ লোপাট নিয়ে তদন্ত চলছে।

যে যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে, সেগুলির মধ্যে আছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক। সিবিআই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, যে উদ্দেশ্যে এবিজি ঋণ নিয়েছিল, সেই উদ্দেশ্যে তা কাজে না লাগিয়ে বেআইনিভাবে প্রচার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এবিজি শিপইয়ার্ড দেশের বৃহত্তম জাহাজ মেরামত ও নির্মাণ সংস্থা। বন্দরে পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে গুজরাটের দহেজ ও সুরাটে এই সংস্থার কারখানা রয়েছে। হলদিয়া বন্দরের একটি ব্যবসা ছিল। কিছু সমস্যার কারণে তারা ব্যবসা গুটিয়ে নেয়।

ঋণ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ প্রথম ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্যাংক অভিযোগ জানায়। ২০২০ সালের মার্চে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা বুঝতে পেরে ফেব্রুয়ারি মাসে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। তদন্ত রিপোর্ট বলছে, এবিজি বিভিন্ন বেআইনি পথে টাকা সরিয়ে ফেলেছে। ঋণ এখন অনাদায়ী ঋণের আওতায় চলে গিয়েছে।

সংস্থার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত এই জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ সংগ্রহের কারবার চলছে। ঋণশোধ না হওয়ায় এই জালিয়াতির চিত্র সামনে আসে।

ছবি - প্রতীকী
মোদী সরকার ২০১৪ থেকে ৬.১১ লক্ষ কোটি টাকা কর্পোরেট ঋণ মকুব করেছে - সীতারাম ইয়েচুরি

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in