Bharat Jodo Yatra: 'নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিপুল ত্রুটি,' কাশ্মীরে বন্ধ রাহুলের যাত্রা

কেসি ভেনুগোপাল বলেন, 'টানেল পার হওয়ার পরেই পুলিশ উধাও হয়ে যায়। তাঁদেরকে কে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে? এর জবাব কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। আর, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।'
Bharat Jodo Yatra: 'নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিপুল ত্রুটি,' কাশ্মীরে বন্ধ রাহুলের যাত্রা
ছবি সৌজন্যে কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল
Published on

'নিরাপত্তা ত্রুটির জেরে' থকমে গেল রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা। শুক্রবার, কাশ্মীর উপত্যকায় প্রবেশের পরই 'নিরাপত্তাজনিত কারণে' স্থগিত হয়েছে যাত্রা।

কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, শুক্রবার, কাশ্মীরে প্রায় ২০ কিলোমিটার যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু, যাত্রার ১ কিলোমিটারের মাথায়, বানিহালে টানেলের দিকে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বিপর্যয় ঘটে। ফলে, বাধ্য হয়ে যাত্রা স্থগিত করতে হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এসময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।

এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল জানান, 'ভীড় সামলানোর জন্য কোথাও কোনও পুলিশকে দেখা যাচ্ছিল না। টানেল থেকে বেরিয়ে আসার পর পুলিশি ব্যবস্থা পুরোভাবে ভেঙে পড়ে। যাত্রায় আমার সামনে চলতে থাকা সুরক্ষা কর্মীরা অসুবিধার মুখে পড়েন। এ কারণে আমাকে যাত্রা এখানে বন্ধ করে দিতে হয়। কারণ, আমি আমার নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে যেতে পারি না।'

তিনি বলেন, 'পুলিশের তরফে ভিড় সামলানোটা জরুরি ছিল, যাতে আমরা হাঁটতে পারি। আমার পক্ষে আমার নিরাপত্তায় থাকা রক্ষীদের কথা এড়িয়ে চলাটা কঠিন।'

কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল বলেন, 'প্রায় ৩০ মিনিট নড়াচড়া করতে পারেননি রাহুল গান্ধী। অবশেষে, তাঁকে একটি নিরাপত্তা গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আজকের জন্য যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।'

তিনি জানান, 'আমরা বানিহাল টানেল পার হওয়ার পরেই পুলিশ উধাও হয়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট কোনও নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন না। তাঁদেরকে কে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে? এর জবাব কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। আর, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।'

কংগ্রেস নেতা রজনী পাটিল টুইটারে বলেন, 'ভারত জোড়ো যাত্রায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। এই নিরাপত্তা ত্রুটিগুলি প্রশাসনের অন্যায় এবং অপ্রস্তুত মনোভাবকে স্পষ্ট করে।'

দেশের ভাবমূর্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ। তিনি এদিন বলেন, 'ভারত জোড়ো যাত্রার উদ্দেশ্য কখনোই রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তি উন্নত করা নয়। এটির আসল উদ্দেশ্য দেশের পরিস্থিতির উন্নতি করা।'

তিনি স্পষ্ট জানান, 'আমরা কোনো ব্যক্তির ভাবমূর্তির জন্য এতে (যাত্রায়) যোগদান করিনি, আমরা এটি করেছি দেশের ভাবমূর্তির জন্য।'

প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহে (৩০ জানুয়ারি) রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই যাত্রা শেষ হবে শ্রীনগরে। তার আগে এই নিরাপত্তা ইস্যু উপত্যকার রাজনীতি এবং ১ ফেব্রুয়ারি, আসন্ন সংসদের বাজেট অধিবেশনে ঝড় তুলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in