হরিদ্বারের ঘটনায় সুর চড়ালেন উত্তপ্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ‘একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের বিরুদ্ধে যারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে’ অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুললেন তিনি। প্রসঙ্গত, ঘটনার চারদিনের মাথায় প্রবল চাপে পড়ে অবশেষে FIR দায়ের করেছে পুলিশ।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, “যারা এইধরনের ঘৃণা ও হিংসা উস্কে দেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রকাশ্যে শ্রদ্ধেয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যার আহ্বান নিন্দনীয়। এই ধরনের কাজ আমাদের দেশের সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন করে।”
উল্লেখ্য, গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া ধর্ম সংসদে ‘হিন্দু রক্ষা সেনা সংগঠনের’ সভাপতি স্বামী প্রবোধানন্দ গিরি বলেন, এখানকার প্রত্যেক হিন্দু, রাজনীতিবিদ, পুলিশকে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হবে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাফাই অভিযান শুরু করতে হবে। প্রবোধানন্দ এর আগেও একাধিকবার মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক মন্তব্য করেছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীর ঘনিষ্ঠ প্রবোধানন্দ।
অপর একটি ভিডিওতে স্বামী ধরমরাজ মহারাজকে বলতে দেখা গেছে, “প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যখন সংসদে বলেছিলেন জাতীয় সম্পদের ওপর সংখ্যালঘুদের প্রথম অধিকার, আমি যদি তখন সেখানে উপস্থিত থাকতাম তাঁকে গুলি করে হত্যা করতাম। রিভলবারের ছ'টা গুলিই তাঁর বুকে ঢুকিয়ে দিতাম। আমাদের প্রত্যেকের নাথুরাম গডসে হওয়া উচিত।”
এই অনুষ্ঠানে একাধিক বিজেপি নেতাও উপস্থিত ছিলেন, যেমন অশ্বিনী উপাধ্যায়, বিজেপির মহিলা মোর্চা প্রধান উদিতা ত্যাগী। প্রথমে কোনওরকম পদক্ষেপ না নেওয়া হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওগুলি ভাইরাল হতেই চাপে পড়ে উত্তরাখণ্ড পুলিশ জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে, যিনি শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন এবং সম্প্রতি হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন