অগ্রিম ফসল কেনার দাবি জানিয়ে ৪৪ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন হরিয়ানার কৃষকরা। দীর্ঘ ২১ ঘন্টা পর সেই অবরোধ তুলে নিচ্ছেন কৃষকেরা। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ফসল কেনার আশ্বাস মেলায়- ‘কুরুক্ষেত্র’ থেকে সরে আসছেন তাঁরা।
শুক্রবার, সকাল থেকেই ৪৪ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন কৃষকেরা। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয় ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (চারুনি) বা BKU (Charuni)। এই অবরোধের ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আটকে পড়ে বিপুল সংখ্যক গাড়ি।
জানা যাচ্ছে, কৃষকদের দাবি মেনে শীঘ্রই ফসল সংগ্রহের কাজ শুরু করবে সরকার। তবে, সরকারিভাবে এই প্রক্রিয়া চালু হবে ১ অক্টোবর। এরপরেই, কৃষকেরা ফসল বিক্রির রসিদ হাতে পাবেন। এ প্রসঙ্গে, BKU (Charuni)-র নেতা গুরনাম সিং চারুনি বলেন, ফসল সংরক্ষণ করার জায়গা নিয়ে আমারা চিন্তিত ছিলাম। সরকার ফসল সংগ্রহের দিনক্ষণ এগিয়ে আনার দাবি মেনে নিয়েছে।
শুধু তাই নয়, ফসলের উচ্চ ফলনের কথা ভেবে পাঁচটি জেলায় ক্রয়ের সীমা বাড়িয়ে- একর প্রতি ২২ থেকে ৩০ কুইন্টাল করা হয়েছে। এছাড়া, আরও কয়েকটি জেলায় ক্রয়ের সীমা বাড়িয়ে একর প্রতি ২৮ কুইন্টাল করা হয়েছে জানান গুরনাম সিং চারুনি।
জানা যাচ্ছে, কৃষকদের জাতীয় সড়ক অবরোধের জেরে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। আইনশৃঙ্খলা মানার জন্য কৃষকদের নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানা হাইকোর্ট।
শুধু তাই নয়, মধ্যরাতের শুনানিতে ও হরিয়ানা হাইকোর্ট বলেছে, ‘পরিস্থিতি রোধে জেলা প্রশাসনের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধে রাজ্যকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এক পর্যবেক্ষণে আদালত জানিয়েছে, ‘যদি প্রশাসনের কাছে অন্য কোনও উপায় না থাকে, সেক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগের অবলম্বনই শেষ বিকল্প হওয়া উচিত।’
এদিকে, কুরুক্ষেত্রের পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং ভোরিয়া বলেন, ‘সমস্ত অবরোধ সরানো হয়েছে। এখন যান চলাচল শুরু হয়েছে।’ তিনি জানান, আমরা কৃষকদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বিষয়টি সমাধান করেছি।
আর্দ্রতা এবং বৃষ্টির ফলে ফসল নষ্ট হবে, এই আশঙ্কায় প্রতিবাদে নামেন কৃষকেরা। তারা জানিয়েছে, তাদের স্টোরেজ স্পেস নেই, তাই রাজ্য সরকারের উচিত ক্রয়ের তারিখ এগিয়ে আনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন