মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিতে দলে দলে কৃষকরা জমায়েত হতে শুরু করেছেন কার্নালে। আজ বিকেলে হরিয়ানার এই শহরেই অনুষ্ঠিত হবে কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত। এদিন সকালের খবর অনুসারে ইতিমধ্যেই বহু কৃষক কার্নাল মান্ডির কাছে পৌঁছে গেছেন এবং আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও বড়ো সংখ্যায় কৃষকরা এখানে পৌছবেন।
কৃষকরা যাতে কোনোভাবেই কার্নাল মান্ডিতে পৌঁছতে না পারেন তাই কৃষকদের মহাপঞ্চায়েতের জায়গায় হরিয়ানার এম এল খাট্টার প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে ৩০ ব্যাটেলিয়ন বাহিনী। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তার দায়িত্বে যুক্ত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও। সোমবার রাত ১১.৫৯ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই অঞ্চলের ইন্টারনেট পরিষেবা। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
যদিও কৃষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা যে কোনো মূল্যে কার্নাল মান্ডিতে পৌঁছবেন। প্রয়োজন হলে ব্যারিকেড ভাঙবেন। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের কার্নাল শাখার সদস্য জগদীপ সিং জানিয়েছেন, কোনো নিরাপত্তা বলয় আমাদের আটকাতে পারবেনা। কৃষকরা কার্নাল মান্ডিতে যাবেনই এবং আজ মহাপঞ্চায়েতও হবে।
তিনি আইএএনএস-কে জানান, গোটা রাজ্য থেকে কৃষকরা দলে দলে কার্নাল মান্ডিতে আসছেন। বিকেলের আগেই তাঁরা এখানে পৌঁছে যাবেন। আমাদের সমস্ত নেতা দুপুরের আগেই এখানে পৌঁছবেন এবং মহাপঞ্চায়েত শুরু হবে।
কার্নাল মান্ডিতে জমায়েত হওয়া কৃষকরা জানিয়েছেন, ২৮ আগস্ট যে অফিসার কৃষকদের ওপর পুলিশি আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁরা সেই দোষী আইএএস অফিসার এবং কৃষকদের ওপর লাঠি চালানো পুলিশদের শাস্তি চান। ওই অফিসারকে সাসপেন্ড করতে হবে এবং যে কৃষক ওই ঘটনায় মারা গেছেন তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কৃষকদের দাবি, নিহত সুশীল কাজলের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। এছাড়াও ২৮ আগস্টের ঘটনায় আহত কৃষকদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবার দাবিও জানিয়েছে কিষাণ ইউনিয়ন।
জানা গেছে এদিন কার্নাল সবজি মণ্ডিতে মহাপঞ্চায়েতের পর কৃষকদের পক্ষ থেকে এন এইচ ৪৪ ধরে এক বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। এই মিছিল যাবে মিনি সেক্রেটারিয়েট পর্যন্ত।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন