হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ার পর কৃষকদের ঘেরাও থেকে ছাড় পেলেন বিজেপি নেতা তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ গ্রোভার। দীর্ঘ প্রায় আট ঘণ্টা ধরে গুরুগ্রামের একটি মন্দিরে কৃষকদের দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন তিনি ও আরও কয়েকজন বিজেপি নেতা। কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকদের নিয়ে অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করায় মণীশ গ্রোভারকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছিলেন কৃষকরা।
রোহতক জেলার কিলোই গ্রামের একটি মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেদারনাথ সফরের সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর কথা ছিল। তা দেখার জন্য শুক্রবার সাতসকালেই মণীশ গ্রোভার ও আরও কয়েকজন বিজেপি নেতা মন্দিরে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পরই বহু কৃষক সেখানে উপস্থিত হয়ে মন্দিরের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। মণীশ গ্রোভারের সাথে মন্দিরে আটকে পড়েন বিজেপির অর্গানাইজেশন মন্ত্রী রবীন্দ্র রাজু, মেয়র মনমোহন গয়াল, বিজেপির জেলা সভাপতি অজয় বনসাল। তবে কৃষকদের লক্ষ্য ছিল কেবল মণীশ গ্রোভার। তাঁরা প্রাক্তন মন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিন্তু কৃষকরা পুলিশকেও মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেননি। প্রায় আট ঘণ্টা মন্দিরের ভেতরে আটকে থাকার পর অবশেষে হাত জোড় করে কৃষকদের কাছে ক্ষমা চান মণীশ গ্রোভার। সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকরা।
যদিও কৃষকদের এই দাবি অস্বীকার করেছেন মণীশ গ্রোভার। তিনি বলেন, "খাপ থেকে কিছু লোক আমার কাছে এসে আমাকে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সকলের সামনে ক্ষমা চাইতে বলছিলেন। আমি কারো কাছে ক্ষমা চাইনি। আমার আবার যখন ইচ্ছে করবে তখনই এই মন্দিরে আসবো।"
কৃষকদের এই বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে দিল্লি-হিসার জাতীয় সড়ক। সূত্রের খবর, যেকোনো রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সোনিপাত, ঝাজ্জর থেকে প্রচুর পুলিশ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন