গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর থেকে ৩০০০ কেজি হেরোইন উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। গুজরাটের NDPS (Narcotic Drugs and Psychotropic Substances)-এর একটি বিশেষ আদালত DRI (Directorate Revenue Intelligence)-কে এই নির্দেশ দিয়েছে।
এই হেরোইন আসার ঘটনায় আদানি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা মুন্দ্রা বন্দর, তার ম্যানেজমেন্ট এবং কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে উপকৃত হয়েছে কিনা, তা বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর মুন্দ্রা আদানি বন্দর থেকে ২,৯৯০ কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করে DRI বা রাজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা। ট্যাল্ক বহনকারী হিসেবে চিহ্নিত দুটি কনটেইনারের হেরোইন এসেছিল। আফগানিস্তান থেকে ইরান হয়ে আসা এই হেরোইনের বাজারমূল্য ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। অন্ধ্রপ্রদেশে বিজয়ওয়াড়ার আশি ট্রেডিং কোম্পানির নামে হেরোইন এসেছিল।
এই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে DRI। এর মধ্যে ৩ জন ভারতীয়, ৪ জন আফগান এবং ১ জন উজবেকের নাগরিক। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মূল অভিযুক্ত কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা পি রাজকুমারের রিমান্ডের আবেদনের শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সি এম পাওয়ার বলেন, "বিদেশ থেকে এই ধরণের চালান বা কনটেইনার ভারতে আমদানি এবং তা মুন্দ্রা আদানি বন্দরে অবতরণের ক্ষেত্রে, বন্দরের কর্তৃপক্ষ এবং কর্মকর্তাদের কোনো ভূমিকা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। যেখান থেকে ২,৯৯০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়, সেই বন্দরের ম্যানেজমেন্ট এবং কর্তৃপক্ষ কীভাবে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অন্ধকারে থাকতে? এই আমদানি থেকে আদানির বন্দর কোনোভাবে উপকৃত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার।"
বিচারপতির আরো বলেন, "এই হেরোইন উদ্ধার একাধিক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। বিজয়ওয়াড়ার কাছাকাছি চেন্নাই সহ আরো একাধিক বন্দর আছে। তা সত্ত্বেও মুন্দ্রা বন্দরে কেন কনটেইনার দুটি অবতরণ করা হলো? DRI-এর এই সমস্ত দিকগুলোর তদন্ত করে দেখা উচিত।"
মুন্দ্রা বন্দরে বিদেশ থেকে এইরকম আরো কোনো কনটেইনার এসেছে কিনা, এলে তাতে কী এসেছে, DRI-কে তা দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন