সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক রাজ্য থেকে হিংসার খবর পাওয়া গেছে। যে ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ধরণের হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু করা হচ্ছে #ইন্ডিয়া এগেন্সট হেট হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেন। দলের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান রোহন গুপ্তা জানিয়েছেন: "বিজেপির তৈরি করা বিদ্বেষপূর্ণ পরিবেশের মাধ্যমে দেশের মূল সমস্যাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।”
গুপ্তা বলেন, দেশের তরুণদের কর্মসংস্থান দরকার; মুদ্রাস্ফীতি থেকে মধ্যবিত্তের মুক্তি প্রয়োজন; কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য প্রয়োজন; এবং মহিলাদের নিরাপত্তা ও উন্নত শিক্ষা প্রয়োজন। সমাজের প্রতিটি অংশ যাতে নির্বিঘ্নে তাঁদের জীবন অতিবাহিত করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, "ক্ষমতায় যারা থাকেন তাঁরা ছাড়া অন্য কেউ ঘৃণার পরিবেশ চায়না। কেউ চায় না তাদের নিজের ঘর পুড়ে যাক, তাদের ছেলে দাঙ্গাকারী হোক। কিন্তু শুধুমাত্র কিছু চাওয়া হলেই তা বাস্তবে পরিণত হয় না।" "আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে ঘৃণার বিরুদ্ধে এবং আমাদের চাহিদা ও লক্ষ্যের পক্ষে আওয়াজ তুলতে হবে। কংগ্রেস সর্বদা আপনার কণ্ঠকে শক্তিশালী করতে চায়। তাই #IndiaAgainstHate প্রচারে যোগ দিন।"
এর আগে, বিজেপির সমালোচনা করে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন "সরকারের উচিত দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বকে ধ্বংস করা" কিন্তু তার পরিবর্তে বিজেপির বুলডোজার ভয় জাগানোর জন্য ঘৃণার দ্বারা চালিত হয়।
রাহুল বলেন, "মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব দেশের মানুষকে শ্বাসরুদ্ধ করে রেখেছে এবং সরকারের উচিত এই সমস্যাগুলির উপর বুলডোজার চালানো। কিন্তু বিজেপির বুলডোজার ভয় তৈরি করার জন্য ঘৃণা দ্বারা চালিত হয়।"
কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটে সংঘটিত হিংসা এবং সেই ঘটনার পর গৃহীত পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। রবিবার রাম নবমী উদযাপনের সময় মধ্যপ্রদেশের অন্তত দুটি জেলায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। রাজস্থানও ২ এপ্রিল হিংসার ঘটনার সাক্ষী ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন