কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কামদুনি-কাণ্ডের প্রতিবাদীরা। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে ছিল সেই মামলার শুনানি। কিন্তু সেখানে স্থগিত হয়ে গেল এই মামলার শুনানি। আদালতের তরফ থেকে রাজ্য ও আট অভিযুক্তকে জবাবদিহির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানি হলফনামা পাওয়ার পর হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
কামদুনি মামলায় তথ্য প্রমাণের অভাবে কলকাতা হাইকোর্ট ৬ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল। বাকি দু’জন সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যুদণ্ড রদ করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কামদুনি প্রতিবাদীরা। মঙ্গলবার সেই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। তবে এদিনের শুনানি বেশি দিন এগোয়নি। আদালতের তরফ থেকে এই আট জনের পাশাপাশি, রাজ্য সরকারকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে।
আজ শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যাদের মুক্ত করা হয়েছিল, তাদের ফের হেফাজতে নেওয়ার প্রশ্ন তোলা হয়। মামলাকারীর তরফে শুনানির আবেদন জানানো হলে, বক্তব্য শোনে আদালত। তার পরই নোটিস জারি করা হয়। সেই নোটিসের জবাব পেলে, পরের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সময় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় আদালত। সেই কথাও আজ উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত।
শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশের পর, কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে, "সুপ্রিম কোর্টে মামলা গৃহীত হয়েছে। আমাদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ রুদ্র আশ্বাস দিয়েছেন যে, কামদুনির নির্যাতিতা তাঁরও বোন। আমরা আশা করছি বিচার পাব। রাজ্য সরকারের তরফে যে SLP দায়ের করা হয়েছিল, তার সঙ্গে আমাদের SLP-কে যুক্ত করা হয়েছে এদিন।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন