‘১৮ মাস বেতন না পেয়ে ইডলি বিক্রি HEC কর্মচারীর’ খবর ভুয়ো ! দাবি প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর

People's Reporter: বিবিসি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, চন্দ্রযান-৩ এর এই সাফল্যের পরও প্রায় ১৮ মাস ধরে বেতন জোটেনি দীপককুমার-সহ মোট ২৮০০ জন HEC কর্মীর।
PIB ফ্যাক্ট চেক ...
PIB ফ্যাক্ট চেক ...
Published on

ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সম্প্রতি চন্দ্রযান-৩ এর লঞ্চপ্যাড তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা নেওয়া হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড (HEC)-এর এক টেকনিশিয়ানের ১৮ মাস বেতন না পাওয়ায় রাঁচির রাস্তায় ইডলি বিক্রি করা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল বিবিসি।

সেই খবর প্রকাশের পর চন্দ্রযান-৩ এর যন্ত্রাংশ তৈরি করা টেকনিশিয়ানদের দিয়ে কী করে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বেতনহীনভাবে কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের সংবাদসংস্থার ফ্যাক্ট-চেকিং দল সেই অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবর প্রকাশ করেছিল, ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো তাঁদের চন্দ্রযান-৩ এর লঞ্চপ্যাড তৈরির বরাত দিয়েছিল ভারত সরকারের অধীনে থাকা আরেক সংস্থা ‘হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড (HEC)-কে। HEC-তে চন্দ্রযান-৩ এর লঞ্চপ্যাড তৈরি সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জন্মসূত্রে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা তথা রাঁচি নিবাসী দীপককুমার উপ্রারিয়া। বিবিসি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, চন্দ্রযান-৩ এর এই সাফল্যের পরও প্রায় ১৮ মাস ধরে বেতন জোটেনি দীপককুমার-সহ মোট ২৮০০ জন HEC কর্মীর।

কিন্তু এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এই খবরকে ভুয়ো বলে দেগে দিল কেন্দ্রীয় সরকারি সংবাদসংস্থা PIB (Press Information Bureau)-এর ফ্যাক্ট-চেকিং দল। টুইটারে (বর্তমানে X) PIB লিখেছে - “HEC চন্দ্রযান-৩ এর জন্য কোনও লঞ্চপ্যাড বানায়নি। ওই সংস্থা শুধুমাত্র ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ইসরোকে কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ করেছিল।” পাশাপাশি, ওই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও তার শিরোনামকে ‘ভুয়ো’ বলে অভিহিত করে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)।

একইসঙ্গে HEC নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের বর্ষীয়ান উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা টুইটারে লিখেছেন, “সংস্থাটি কোম্পানি আইনের অধীনে নথিভুক্ত করা আছে । এটি একটি স্বশাসিত সংস্থা। BHEL-এর মতো এই সংস্থাও নিজের সংস্থান নিজেই জোগাড় করে।”

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রী কৃষাণ পাল গুর্জর সংসদে তথ্য-প্রমাণ জমা দিয়ে জানিয়েছিলেন, চন্দ্রযান-৩ সংক্রান্ত কোনও কাজ HEC-কে দেওয়া হয়নি। HEC শুধুমাত্র ইসরোকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সরবরাহ করেছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বয়ানের সঙ্গে সংসদে জমা দেওয়া নথির ছবিও টুইটারে শেয়ার করেছেন কাঞ্চন গুপ্তা।

PIB ফ্যাক্ট চেক ...
১৮ মাস বেতন পাননি - সংসার চালাতে চন্দ্রযানের লঞ্চপ্যাড তৈরি করা টেকনিশিয়ান এখন ইডলি বিক্রেতা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in