ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশন। এবার তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। - বেশ কয়েকটি মিডিয়ায় এই খবর সামনে আসার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে ‘চক্রান্তের’ অভিযোগ এনেছেন হেমন্ত।
বৃহস্পতিবার, হেমন্ত দাবি করেন, তাঁর বিধায়কপদ খারিজ নিয়ে এখনও কোনও চিঠি পাননি তিনি। আর খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি জানান, ‘বোঝাই যাচ্ছে, বিজেপি নেতারা, যাঁদের মধ্যে একজন বিজেপি সাংসদ ও তাঁর ‘পুতুল’ সাংবাদিকরা রয়েছেন তাঁরাই নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টটি তৈরি করেছেন। অন্যথায় এই ধরনের রিপোর্ট মুখবন্ধ (সিল) অবস্থায় থাকে।’
জানা গেছে, সোরেনের বিধায়কপদ খারিজের বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি নির্বাচন কমিশনের তরফে।
সোরেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনৈতিক ভাবে খনি লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রথম এই অভিযোগ আনেন বিজেপি বিধায়ক তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। তিনি, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ১৯৫২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৯(এ) ধারার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হেমন্তের বিধায়কপদ খারিজের আবেদন জানান।
সেই অভিযোগের পরিপেক্ষিতে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে তাদের মতামত জানতে চান রাজ্যপাল রমেশ বাইস। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার, হেমন্তের বিধায়কপদ খারিজের বিষয়ে সম্মতি দিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রাজ্যপালের আদেশ জারি হলে সোরেনের বিধায়কপদ খারিজ হয়ে যাবে। এমতাবস্থায়, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হতে পারে সোরেনকে। তবে, সোরেনের নেতৃত্বে জেএমএম-কংগ্রেস জোটের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তাই পদত্যাগের পর আবারও রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারেন তিনি।
রাজ্যপাল রমেশ বাইস বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন। তিনি রাঁচিতে ফেরার পরই নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ নিয়ে ঘোষণা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে সোরেনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ‘অযোগ্য' ঘোষণা করা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন